ব্রিসবেন টেস্টের আলোচনায় ১৬ বছর বয়সী পেসার

পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহকম বয়সে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা ক্রিকেটারদের সংখ্যায় সম্ভবত পাকিস্তানই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সিরিজের দলেই থাকে চমক। এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরও ব্যতিক্রম নয়, মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক পেসারকে দলে রেখে চমক দিয়েছে তারা। শুধু দলে নয়, ব্রিসবেন টেস্টের একাদশেও থাকছেন মাত্র ৭টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা নাসিম শাহ।

অস্ট্রেলিয়ার মাটি পেসারদের স্বর্গভূমিই বলা চলে। সব দলই অস্ট্রেলিয়া সফরে তাদের অভিজ্ঞ পেস আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামতে চায়। পাকিস্তান অবশ্য ‍আস্থা রাখছে নাসিমের ওপর। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হতে যাওয়া ব্রিসবেন টেস্টের আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দুতেও ১৬ বছরের এই পেসার।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া নাসিম খেলেছেন মোটে ৭ ম্যাচ। তবে এই সময়েই নিজেকে প্রমাণ করে নিয়েছেন ২৭ উইকেট। পাকিস্তানের কোচ ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নেওয়া মিসবাহ-উল-হকের নজর কাড়তে সময় লাগেনি তার। পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক আজহার আলীকেও। স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের সামনেও নাসিমের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি।

আজ (বুধবার) ব্রিসবেনের অনুশীলন শেষে আজহার বলেছেন, ‘নাসিম খুবই ভালো বল করে। আমরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) একাদশ ঘোষণা করব, তবে সে অবশ্যই সেখানে (একাদশে) থাকবে। এত কম বয়সে ভালো জায়গায় পৌঁছানো খেলোয়াড়ের সংখ্যা খুবই কম। তবে ব্যতিক্রম তো আছেই এবং তাদেরই একজন সে। তার সাফল্যময় ক্যারিয়ার দেখার অপেক্ষায় আমরা সবাই।’

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হচ্ছে নাসিমের। যাকে সামলাতে হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা স্মিথকে। যদিও ১৬ বছর বয়সী পেসারের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে আজহারের, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সে ফিট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমার নেতৃত্বে সে খেলেছে। তার বোলিংয়ের ফিটনেস নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই।’

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগে বড় ধাক্কা লেগেছে নাসিমের মনে। সপ্তাহখানেক আগে মা হারিয়েছেন এই পেসার। বিশাল এই শোক কাটিয়ে নাসিমের লড়াই করার মানসিকতা মুগ্ধ করেছে আজহারকে, ‘গত সপ্তাহ মা হারিয়েছে নাসিম, ওর জন্য খুব কঠিন সময়। তবে পরের দিনই ওকে আবার বোলিংয়ে দেখেছি আমি, সত্যিই এমনটা দেখা যায় না।’

যাকে নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ভয়, সেই স্মিথ কিন্তু সতর্ক তরুণ এই পেসারকে নিয়ে। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার বয়সের অর্ধেক সে। বিষয়টা মজার… মাত্র ১৬ বছর বয়স। এই বয়সে টেস্ট খেলতে নামলে ভয় কাজ করবে, বিশেষ করে দেশের বাইরে কোথাও খেলতে নামলে। অবশ্যই তার সামর্থ্য আছে। সে যদি খেলে, তাহলে আমাদের কোনোভাবেই তাকে হালকা করে নেওয়া যাবে না।’ এএফপি, রয়টার্স