কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু

বাংলাদেশঅন্ধকার কাটিয়ে আলো ফেরানোর মিশনে কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। দিবা-রাত্রির এই টেস্টে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থানে ভারত।

ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি চিন্তিত ছিলেন ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করা নিয়ে। যদিও এই ব্যাটসম্যান চ্যালেঞ্জটা উতরে গিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দলকে। তার হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে ইডেনের দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিন শেষ করে ভারত ৩ উইকেটে ১৭৪ রানে। যাতে স্বাগতিকরা পায় ৬৮ রানের লিড। কোহলি ৫৯ রানে ও আজিঙ্কা রাহানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছেন ২৩ রানে।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ ছিল না। গোলাপি বলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট শিকারি হিসেবে নাম তোলেন আল-আমিন। এই পেসারের বলে ফিরেছেন ইন্দোর টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও আগারওয়াল। বোলিংয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরা ভারত ব্যাটিংয়েও ছিল দুর্দান্ত। যদিও উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সফরকারীদের। আগারওয়ালকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন লম্বা সময় পর টেস্টে ফেরা আল-আমিন। এই পেসারের বলে ভারতীয় ওপেনার গালিতে ধরা পড়েন ‘কনকাশন-সাব’ হিসেবে মাঠে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। আউট হওয়ার আগে আগারওয়াল করেন ২১ বলে ১৪ রান।

এই আল-আমিনই ক্যাচ ছেড়ে ‘জীবন’ দিয়েছিলেন রোহিতকে। চা বিরতির আগে বেঁচে যাওয়া ভারতীয় ওপেনার চা বিরতির পরপরই ফিরে গেছেন। চমৎকার এক ডেলিভারিতে রোহিতকে আউট করেছেন ‍এবাদত হোসেন। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বল অনেকটা সুইং করে আঘাত করে এই ব্যাটসম্যানের প্যাডে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জোরালো আবেদনে সাড়া দিতে দেরি হয়নি আম্পায়ারের। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রোহিত। এবাদতের শিকার হয়ে রোহিত ফিরেছেন ২১ রানে।

৪৩ রানে ২ হারানো ভারতকে পথে ফেরান কোহলি ও পূজারা। এবাদতের চমৎকার বোলিংয়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। হাফসেঞ্চুরি পূরণের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ‍পূজারা। ৫৫ রান করে স্লিপে ধরা পড়েছেন সাদমান ইসলামের হাতে। যাওয়ার আগে ১০৫ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৮ বাউন্ডারিতে। একই সঙ্গে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে কোহলির ‍সঙ্গে গড়া ৯৪ রানের জুটি। এরপর দিনের বাকিটা পার করে দিয়েছেন কোহলি ও রাহানে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার এবাদত। এই পেসার ৪৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। আর ভারতের হারানো অন্য উইকেটটি নিয়েছেন আল-আমিন।