মিচেল-ওয়াটলিংয়ের হাফসেঞ্চুরির পর অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

বিজে ওয়াটলিং ও ড্যারিল মিচেল দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরিআগের দিনই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টম ল্যাথাম। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি, আউট হয়েছেন ১০৫ রানে। এরপর অভিষিক্ত ড্যারিল মিচেল ও বিজে ওয়াটলিংয়ের হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৭৫ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড রয়েছে অস্বস্তিতে, ৩৯ রান তুলতেই হারিয়েছে ২ উইকেট।

হ্যামিল্টন টেস্টেও চাপে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১১ রানে ইংলিশরা হারায় প্রথম উইকেট। টিম সাউদির বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪ রান করা ডম সিবলি। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন ‍ওয়ান ডাউনে নামা জো ডেনলি। ট্রেন্ট বোল্টের চোটে একাদশে সুযোগ পাওয়া ম্যাট হেনরি তাকে ফেরান ৪ রানে।

দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন ওপেনার রোরি বার্নস (২৪*) ও অধিনায়ক জো রুট (৬*)। ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে এখনও পিছিয়ে ৩৩৬ রানে।

এর আগে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দিনের শুরুতেই তারা ফেরায় সেঞ্চুরিয়ান ল্যাথামকে। ১০৫ রানে কিউই ওপেনারকে বোল্ড করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। স্যাম কারানের শিকার হয়ে খানিক পর ফেরেন হেনরি নিকোলস (১৬)। এরপরই শুরু মিচেল-ওয়াটলিংয়ের প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ১২৪ রানের জুটি।

নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা মিচেল তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ওয়াটলিংও পান ফিফটির দেখা। যদিও ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি, ৫৫ রানে ব্রডের শিকারে পরিণত হন এই উইকেটরক্ষক।

মিচেল অবশ্য সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। যদিও ৭৩ রানে থামতে হয় তাকে। ব্রডের বলেই ধরা পড়েন জোফরা আর্চারের হাতে। ১৫৯ বলের ইনিংসটি মিচেল সাজিয়েছেন ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। এরপর মিচেল স্যান্টনার করেন ২৩ রান, আর সাউদির ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ব্রড। অভিজ্ঞ এই পেসার ৭৩ রান খরচায় পেয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার ক্রিস ওকস। আর ২ উইকেট শিকার স্যাম কারানের। ক্রিকইনফো