মার্নাস ল্যাবুশ্যাগনের সঙ্গে অপরাজিত ২৯৪ রানের জুটিতে দিন শুরু করেন ওয়ার্নার। প্রথম সেশনে তিনি পেয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরি, ২৬০ বলে ২৩টি চারে। ১৬৬ রানে শনিবার মাঠে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ল্যাবুশ্যাগনে তার সঙ্গে ৩৬১ রানের জুটি গড়েন। ১২৬ রানে খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান ১৬২ রানে বিদায় নেন।
দিবা-রাত্রির টেস্টে সর্বোচ্চ জুটি ভাঙলেও থামেননি ওয়ার্নার। স্টিভ স্মিথের সঙ্গে একশ ছাড়ানো জুটিতে পাকিস্তানের সামনে আরও বড় রান পাহাড় তৈরি করেন। ১২১ রানের এই জুটি গড়ার পথে দ্রুততম ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন স্মিথ। ইংলিশ গ্রেট ওয়ালি হ্যামন্ডকে (১৩১) তিনি পেছনে ফেলেন ১২৬তম ইনিংসে, ভাঙেন ৭৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাটিংয়ে শঙ্কার মুখে পড়েছিল ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৪০০ রানের রেকর্ড ইনিংস। কিন্তু টিম পেইন ইনিংস ঘোষণা করায় সেটা হয়নি। ওয়ার্নার ৩৩৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন, ৪১৮ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৩৯ চার ও ১ ছয়ে। ৩৮ রানে খেলছিলেন ওয়েড।
অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট একাই নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিতে নেমে অসহায়। মিচেল স্টার্কের তোপে মাত্র ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। অজি পেসার ৪ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে বাবর আজম ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে ইয়াসির শাহ ৪ রানে খেলছিলেন।