ইনিংস হারের শঙ্কায় পাকিস্তান

ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে ব্যাটিং লজ্জায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকেঅ্যাডিলেড টেস্টে ইয়াসির শাহর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফলো অন এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৩০২ রানে অলআউট হলে ২০১৩ সালের পর প্রথমবার টেস্টে ফলো অনে পড়ে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারছে না সফরকারীরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিন তারা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৩৯ রানে। ৭ উইকেট হাতে রেখে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে আরেকবার ইনিংস হারের শঙ্কায় তারা।

৬ উইকেটে ৯৩ রানে রবিবার খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ৪৩ রানে বাবর আজম, আর ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির। ১০৫ রান যোগ করেন তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সেরা সপ্তম উইকেট জুটি। বাবর অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন। ১৩২ বলে ১১ চারে ৯৭ রানে মিচেল স্টার্কের কাছে উইকেট হারান তিনি টিম পেইনকে পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

পরের বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে শূন্য রানে বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন অজি পেসার। মোহাম্মদ আব্বাস তাকে হতাশ করেন। ইয়াসিরের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের এটা নবম উইকেটের সেরা জুটি। ৭৮ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান আব্বাস।

ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে ব্যাটিং লজ্জায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকেবিপদে হাল ধরা ইয়াসির ১৯২ বলে ১২ চারে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। টেস্টের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড় (১৪.০৬) ব্যাটসম্যান হিসেবে শতকের দেখা পান তিনি, যেখানে তার ওপর কেবল আছেন জেরম টেলর (১২.৯৬)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ইয়াসির। প্যাট কামিন্সের বলে নাথান লায়নের ক্যাচ হওয়ার আগে ২১৩ বলে ১৩ চারে ১১৩ রান করেন তিনি।

স্টার্ক ১২তম বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তিনি শেষ করেছেন ২৫ ওভারে ৬৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে। তিনটি নেন কামিন্স।

৩ উইকেটে ৫৮৯ রান করা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৮৭ রানে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তাতে ফলো অনের সুযোগ কাজে লাগায় স্বাগতিকরা। ২০১৫ সালের পর প্রথমবার প্রতিপক্ষকে ফলো অনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। বৃষ্টির হানায় কয়েকবার ম্যাচ বন্ধ ছিল, এরই মধ্যে ২০ রানে সফরকারীদের ৩ উইকেট পায় তারা।

শান মাসুদ ১৪ আর আসাদ শফিক ৮ রানে অপরাজিত খেলছিলেন। জশ হ্যাজেলউড অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। স্টার্ক পান বাকি উইকেটটি।