আগামী বুধবার মুম্বাইয়ে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। ওই ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হতে দেয়নি উইন্ডিজ। গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে তারা ভারতকে আটকায় ৭ উইকেটে ১৭০ রানে। এরপর সিমন্সের আগ্রাসী ব্যাটে ১৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৩ রান করে ক্যারিবিয়ানরা।
হায়দরাবাদে ঝড় তোলা বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ রানেই বিদায় নেন। তার এই ব্যর্থতার দিনে দারুণ অবদান রাখেন শিবম দুবে। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ইনিংসে ভারত চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে। ২৭ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন তিনি। দুবে ৫৪ রানের সেরা ইনিংস খেলেন ৩০ বলে, ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে।
লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মার ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দুবে ইনিংস সেরা জুটি গড়েন। কোহলির সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৪১ রান যোগ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। রোহিতকে নিয়ে আগের জুটিতে অবদান রাখেন ৩১ রান করে।
কেসরিক উইলিয়ামস ও হেইডেন ওয়ালশ ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে পান শেলডন কট্রেল, খারি পিয়েরে ও জেসন হোল্ডার।
লক্ষ্যে নেমে লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইসের দুর্দান্ত এক জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের পথ দেখায়। তাদের জুটি ভেঙেছে ৭৩ রানে। লুইস ৩৫ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৪০ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
তারপর সিমন্সের সঙ্গে শিমরন হেটমায়ারও আগ্রাসী ছিলেন। তাদের ২৪ বলে ৩৯ রানের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি ভাঙে কোহলির দুর্দান্ত ক্যাচে। টানা দুটি ছক্কা মেরে লং অনের বাউন্ডারিতে তার ক্যাচ হন হেটমায়ার। ১৪ বলে ২৩ রান করেন তিনটি ছয়ে।
নিকোলাস পুরানের সঙ্গে অসাধারণ আরেকটি জুটি গড়ার পথে ৩৮ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ষষ্ঠ ফিফটি করেন সিমন্স। মাত্র ২৯ বলে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। ১৯তম ওভারে নিজের চতুর্থ বাউন্ডারি মেরে পুরান দলকে এনে দেন সহজ জয়। তার ১৮ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়। ৪৫ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সিমন্স।