বিপিএলের প্রথম ছয় ইনিংসে সৌম্যর রান ২৬, ৩৫, ৪১, ১৫, ১০ ও ২০। এমন পারফরম্যান্স দলকে আশা জোগায় না। কিন্তু কুমিল্লা সৌম্যকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার মতো বিলাসিতা করতে পারে না, কারণ তার সামর্থ্য যে প্রশ্নাতীত। আস্থার প্রতিদান আজ দিলেন ঠিকই। ৩৬ বলে পেয়ে যান বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির জন্য সৌম্যকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাক্কা ৪৪ ইনিংস। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৫৮ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওই রান করে সৌম্য জিতিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু শনিবার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেও সৌম্য পরাজিত দলে!
সৌম্যর প্রশংসা করতে গিয়ে ডেভিড মালান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সৌম্য অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। রান চেজ করতে গেলে যে ধরনের ব্যাটিং দরকার হয়, সৌম্য সেটা করে দেখিয়েছে। সৌম্য তার কাজটা ঠিকমতো করেছে। কিন্তু আমরা কেউ তাকে সহযোগিতা করতে পারিনি। সৌম্য কখনো নিজের আউট নিয়ে চিন্তা করেনি। দলের স্বার্থে এবং প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে।’
এদিকে তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনও সৌম্যর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ, ‘ওদের দলে অনেক বাঁহাতি, তাই শাফল করে হয়তো সৌম্য ভাইকে নিচে খেলানো হয়েছে। সৌম্য ভাই ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস খেলছে, বিস্মিত হইনি। হাতে আরও কিছু বল থাকলে ম্যাচটি ছিনিয়ে নিতেন তিনি।’