শট নির্বাচনে ভুলটা বুঝতে পারছেন আফিফ

বোল্ড হলেন আফিফবিপিএলের প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ শুরু করছেন তিনি। কিন্তু ইনিংসটাকে লম্বা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন আফিফ হোসেন। শনিবারও দারুণ শুরুর পর আউট হয়েছেন ৪৩ রানে বাজে এক শট খেলে। বিষয়টি নিয়ে হতাশ আফিফ নিজেই বুঝতে পারছেন শট নির্বাচনে ভুল হচ্ছে তার।

২০১৮ সালে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক আফিফের। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে জিতিয়ে ফেরেন দলকে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের বিবেচনায় তিনি ভালো করেই আছেন। যদিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ইনিংসের পর একদমই ভালো কাটছিলো না আফিফের। তবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালের জার্সিতে মোটামুটি ভালো  যাচ্ছে। কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে খেলেছিলেন ৭৬ রানের ইনিংস। ৬ ম্যাচে এক হাফসেঞ্চুরিতে আফিফের রান ১৯০। প্রায় সবগুলো ম্যাচেই ভালো  শুরু হচ্ছে আফিফের। কিন্তু ইনিংসটাকে বড় করতে পারছেন না এই তরুণ। 

কুমিল্লার বিপক্ষে ১৫ রানের জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বীকার করেছেন নিজের ভুল, ‘ইনিংসটা বড় করার সুযোগ ছিল। এমন শট খেলা উচিত হয়নি, সোজা খেলা যেত।’

শুরুটা ভালো হওয়ার পেছনে ‘পাওয়ার প্লে’ ব্যাটিং করতে পারার সুযোগটাকে সামনে আনছেন আফিফ, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমি যেখানে ব্যাট করি, আর বিপিএলে যেখানে খেলছি, দুটোই ভিন্ন পরিস্থিতি। ওখানে আমি অনেক নিচে খেলি, এখানে টপ অর্ডারে খেলছি। এখানে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারছি। এই তবে চাইলে ইনিংসটাকে আরও বড় করা যেতো। নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।’

তাহলে কি আন্তর্জাতিক ম্যাচেও টপ অর্ডারে দেখা যাবে আফিফকে? ২০ বছর বয়সী অবশ্য মনে করেন না সেই সুযোগ আছে, ‘আসলে আমি তো ওপেনার নই। আমি টপ অর্ডারে খেলতে পছন্দ করি। টিম কম্বিনেশনের জন্য আমাদের ওপেনারের দরকার ছিল। এজন্য আমাকে ওপেন করতে বলা হয়েছে।’

রাজশাহী রয়্যালসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও আছেন দলে । অভিজ্ঞ দুই অলরাউন্ডারের কাছ থেকে কী শিখছেন জানিয়েছেন নিজেই, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে।  ওদের থেকে চেষ্টা করছি স্পিন কীভাবে ভালো খেলা যায়। আর রাসেল পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে কিছু টেকনিক দেখিয়েছে। সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’