নিষিদ্ধ সাকিব, তবুও চুক্তিতে সমস্যা নেই (ভিডিও)

কেক কেটে লাইফবয়ের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন সাকিবহেলথ সোপ ব্র্যান্ড লাইফবয়ের পণ্যদূত হিসেবে আরও ৩ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। লাইফবয়ের সঙ্গে সাকিবের জুটি ৮ পেরিয়ে ৯ বছরে পদার্পণ করেছে।

বুধবার(২২ জানুয়ারি) চুক্তি নবায়ন অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার, বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর (বিউটি অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ার) জনাব নাফিস আনোয়ার, স্কিন ক্লিনসিংয়ের ক্যাটাগরি হেড নাবিলা জাবীন খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাকিবের সঙ্গে লাইফবয়ের পথ চলার শুরু ৮ বছরেরও বেশি আগে। সাকিব যখন উদীয়মান খেলোয়াড়,  তাকে পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে লাইফবয়। বুধবারের ঘোষণার মাধ্যমে ২০২০ সালের শুরুতেই সাকিবের সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলো লাইফবয়।  

ইউনিলিভার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর (বিউটি অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ার) জনাব নাফিস আনোয়ার বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে লাইফবয়ের পার্টনারশিপ গত ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। আরও ৩ বছরের জন্য এই চুক্তি নবায়ন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে জীবাণুমুক্ত রাখতে লাইফবয়ের মতো সাকিব আল হাসানও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’   

বল টেম্পারিং করে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের সঙ্গে থাকা কোম্পানিগুলোর সকল চুক্তি বাতিল হয়েছিল। অথচ স্পট ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করে নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব একের পর এক বাণিজ্যিক চুক্তি করেই যাচ্ছেন। স্বয়ং সাকিব বিষয়টি কীভাবে দেখেন? সাকিবের কণ্ঠে কূটনৈতিক উত্তর, ‘আমাদের সম্পর্কটা এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে কোনও কিছুই আসলে সমস্যা নয়-এন্ডোর্সমেন্ট বা পারসোনাল কোনও সমস্যা, স্বার্থের সংঘাত তৈরি হবে এমন নয়। অনেক দিনের সম্পর্কে ব্রান্ডের সঙ্গে পরিবারের মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। অন্য কিছু ভাবার এখানে সুযোগ নেই।’

সাকিব নিষিদ্ধ হওয়াতে ব্র্যান্ড ইমেজে প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনিলিভার বাংলাদেশের নাফিস আনোয়ার বলেছেন, ‘লাইফবয় সোশ্যাল ইস্যু নিয়ে কাজ করে। হ্যান্ডওয়াশের যে প্রোগ্রামটা স্বাস্থ্য সচেতনামূলক হিসেবে আমরা করি, সবচেয়ে বড় আয়োজন। সেখানে সাকিব প্রতি বছর একবার করে যান। আমাদের ব্যান্ড ইমেজে ক্ষতি করবে কি না সময় বলে দেবে। আমরা এখন তা মনে করছি না। বিশ্বাসযোগ্যতাকে (অথেনটিসিটি) আমরা গুরুত্ব দিই। ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসডর সাকিব সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য।’