দ্বিতীয় বলেই উইকেট উদযাপন

শফিউল ইসলাম নেন প্রথম উইকেটলাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছে পাকিস্তান। ১ ওভারে এক উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৫ রান।

দ্বিতীয় বলেই বাংলাদেশ উইকেট উদযাপন করেছে। অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান শফিউল ইসলাম, তখনও পাকিস্তান রানের খাতাই খোলেনি। ডানহাতি পেসারের বল পাকিস্তানি ওপেনারের ব্যাট ছুঁয়ে লিটন দাসের গ্লাভসে জায়গা করে নেয়। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন আজম, কিন্তু বাঁচাতে পারেননি উইকেট।  

পাকিস্তানকে ১৪২ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মন্থর উইকেটে সুবিধা করতে পারলো না বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ১৪২ রানের টার্গেট দিয়েছে তারা।

তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের আভাস দেয় সফরকারীরা। কিন্তু পঞ্চাশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে ছন্দপতন। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান না থাকার ছাপ পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে তারা।

ইনিংসের পঞ্চম বলে দলের রানের খাতা খোলেন তামিম। প্রথম ওভারে আসে মাত্র ২টি রান। শাহীন আফ্রিদির দ্বিতীয় ওভারে দুটি বাউন্ডারিতে গতি বাড়ান নাঈম। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে একটি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের মালিক হন তামিম। ১৪ রান করে সাকিব আল হাসানকে (১৫৬৭ রান) টপকে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান করে বাংলাদেশ। ১১তম ওভারের শেষ বলে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে ফিরতে থাকা তামিমের স্টাম্প ভাঙেন উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৪ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে বাঁহাতি ওপেনার করেন ৩৯ রান।

১৫তম ওভারে পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে লাইনচ্যুত হয় বাংলাদেশ। শাদাব খান তার শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট করেন লিটন দাসকে, পরের বলে ফেরান নাঈমকে। ফ্লিক করেছিলেন নাঈম, লংঅফে ছুটছিল বল। নিজেই দৌড়ে গিয়ে বল হাতে নেন শাদাব এবং সরাসরি থ্রোয়ে নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভাঙেন। ১৩ বলে ২ চারে ১২ রানে রান আউট হন লিটন।

পরের বলে লংঅনে ইফতিখার আহমেদের ক্যাচ হন নাঈম। তাতে ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রানে থামেন বাংলাদেশি ওপেনার।

বিগ ব্যাশ লিগে হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়া হারিস রউফ তার অভিষেক ম্যাচে প্রথম উইকেট পান তৃতীয় ওভারে। আফিফ হোসেনের (৯) মিডল স্টাম্প ভাঙেন এ পেসার। পরের ওভারে সৌম্য সরকারকে (৭) বোল্ড করেন শাহীন আফ্রিদি। মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।

১৯ রানে অপরাজিত থাকেন সফরকারী অধিনায়ক। ৫ রানে খেলছিলেন মিঠুন।

পাকিস্তানের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন শাদাব, রউফ ও শাহীন।