তামিমের ইনিংসটি ছিল পরিচ্ছন্ন। তবে স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর কোনও প্রচেষ্টা লক্ষ্য করিনি। এই পিচটি প্রথম ম্যাচের চেয়ে একটু ভালো ছিল। বল ব্যাটে এসেছে, নেহায়েত মন্দ না। তবে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। তারা স্টাম্প বরাবর বল করেছেন অনেক বেশি, চেঞ্জ অব পেস করে আমাদের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন। তামিম দীর্ঘ সময় ব্যাট করলেও বোলারদের ওপর আধিপত্য তৈরি করতে পারেননি। পরপর দুই ম্যাচে তার রানআউটের দৃশ্য বলে দেয় যে, ২২ গজের পিচে রান নেওয়ার ব্যাপারে তাকে আরও ক্ষিপ্রতা বাড়াতে হবে। অল্প দূরত্বে তার স্প্রিন্ট দেওয়ার অনুশীলন আরও বাড়াতে হবে।
পাকিস্তানের পিচ ব্যাটিংবান্ধব হলে হয়তো আমাদের নতুন খেলোয়াড়রা ব্যাট হাতে আরও উজ্জ্বল থাকতেন। দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা তাদের জন্য সহজ কাজ নয় এবং এখানেই অভিজ্ঞরা এগিয়ে যায়। এই ম্যাচে বাবর আজম ও বর্ষীয়ান মোহাম্মদ হাফিজ খেলাটাকে কত সহজে শেষ করলেন এবং প্রথম ম্যাচে শোয়েব মালিক হিসাব-কিতাব করে ঝুঁকিবিহীন ব্যাট করে দলকে জেতালেন। আমাদের তরুণরা তাদের খেলা চোখের সামনে দেখছেন এবং সেখান থেকে ভালো দিকগুলো নিজের ক্রিকেটে ভবিষ্যতে প্রয়োগ করতে দেখলে আনন্দিত হবো।
দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার মাঝ পর্যায়ে দেখা গেলো আমাদের বোলাররা সম্ভবত ৭ শতাংশ বল করতে পেরেছেন স্টাম্পের নিশানা বরাবর, কাজেই আমাদের বোলাররা প্রতিপক্ষকে যে রান করার সুযোগ কত সহজে করে দিয়েছেন, সেটা অনুমেয়। মোস্তাফিজুর রহমান আজও তার কাছ থেকে প্রত্যাশার কাছাকাছিও বল করতে পারেনি। তার বলে যদিও লিটন দাস পাড়ার উইকেটকিপারের মতো ক্যাচ ছেড়েছেন। এই দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে খেলাটা আমরা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
সিরিজ পাকিস্তান জিতে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচটির আর তেমন কোনও আকর্ষণ রইলো না। এই সিরিজ নিয়ে দুই বোর্ড মাঠ যেমন গরম রেখেছিল, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ক্রিকেটাররা মাঠের লড়াইয়ে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারলো না, যা আমাদের জন্য বড়ই হতাশাজনক।