ইংল্যান্ড দিয়েছে বিশাল লক্ষ্য। কিন্তু অনুপ্রেরণা পেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য ফিরে যেতে পারে ২০০৮ সাল কিংবা ২০১৩ সালে। চারশ’র বেশি লক্ষ্য পেয়ে প্রোটিয়ারা জিতেছিল ১২ বছর আগে। পার্থে ওইবার চতুর্থ ও পঞ্চম দিন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪১৪ রানের লক্ষ্য পূরণ করে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারায় গ্রায়েম স্মিথের দল। বর্তমান ক্রিকেট ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা সাবেক অধিনায়ক হয়তো পাশে থাকবেন ডু প্লেসিদের।
আর এই জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে ৭ বছর আগে চতুর্থ ইনিংসে ৪৫০ রান করেছিল প্রোটিয়ারা। ম্যাচটি হয় ড্র। নিজেদের উজ্জীবিত করতে সারা রাতে কোন ম্যাচকে বেছে নেবে স্বাগতিকরা, সেটা তারাই জানে। কিন্তু জিততে হলে টেস্ট রেকর্ড গড়তে হবে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
৭৯ রানের এ জুটি ভাঙে প্রিটোরিয়াসের (৩৭) উইকেট গেলে। পরে নিজের টানা দুই ওভারে ডি কক ও ডেন পিটারসনকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নেন মার্ক উড। ডি ককের ইনিংস সেরা ৭৬ রান আসে ১১৬ বলে, চার ছিল ১১টি।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সেরা বোলিং করা উড ৪৬ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। দুটি করে পান স্টোকস ও ওকস।
২১৭ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ইংল্যান্ড। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৮৬ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় সেশনেও চলে প্রোটিয়া বোলারদের উল্লাস। ডম সিবলিকে ৪৪ রানে নিজের প্রথম শিকার বানান হেনড্রিক্স। ২৯ বছরের বাঁহাতি পেসার এরপর তাণ্ডব চালান। বেন স্টোকস (২৮) ও স্যাম কারেনের (৩৫) গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: তৃতীয় দিন শেষে
ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস ৪০০ (ক্রলি ৬৬, রুট ৫৯, পোপ ৫৬; নর্কিয়া ৫/১১০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: প্রথম ইনিংস ১৮৩ (এলগার ২৬, মালান ১৫, ফন ডার ডুসেন ০, ডু প্লেসি ৩, ডি কক ৭৬, বাভুমা ৬, নর্কিয়া ৬, ফিল্যান্ডার ৪, প্রিটোরিয়াস ৩৭, হেনড্রিক্স ৫*, প্যাটারসন ৪; উড ৫/৪৬, ওকস ২/৩৮, স্টোকস ২/৪৭, কারেন ১/২৫)
ইংল্যান্ড: দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৮ (ক্রলি ২৪, সিবলি ৪৪, ডেনলি ৮, রুট ৫৮, স্টোকস ২৮, পোপ ১১, বাটলার ৮, কারেন ৩৫, ওকস ০, উড ১৮, ব্রড ১*; হেনড্রিক্স ৫/৬৪, নর্কিয়া ২/৬১, প্রিটোরিয়াস ২/৮৭, প্যাটারসন ১/১৮)