ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে একাধিক পরিবর্তন এনেও সাফল্য পেলো না বাংলাদেশ। সেই একই পরিণতি। একই দৃশ্যপট। সিলেটে সোমবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডিএলএস মেথডে ৫৬ রানে হারতে হয়েছে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে খেলার দৈর্ঘ্য ১৪ ওভারে নেমে আসে। ভারত আগে ব্যাটিং করে ১২২ রান করে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য হয় ১২৫ রানের। জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর টস হয়। বাংলাদেশ ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তবে ষষ্ঠ ওভারে ফের বৃষ্টি নামলে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ হয়। পরে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচটি কার্টেল ওভারে গড়ায়। নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলে ফেলে ১২২ রান। সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তাদের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন শরিফা খাতুন। অভিষিক্ত পেসার হাবিবা ইসলাম ২ ওভারে ২০ রান খরচায় উইকেট শূন্য ছিলেন।
১২৫ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৮ রানে ওপেনার মুর্শিদা খাতুন (১) বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিটা ২০ রানের বেশি হয়নি। ১ উইকেটে ৩৮ রান করা বাংলাদেশের স্কোর চার বলের মধ্যেই দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৯ রান। দুই রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
ওপেনার দিলারা আক্তার ২১ রান করেন। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া সোবাহনা মোস্তারির বদলে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয় রুবাইয়া হায়দারকে। কিন্তু তিনিও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি, খেলেছেন ১৩ রানের ইনিংস। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ না করেই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ফেরেন সাজঘরে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬৮ রানে থামে বাংলাদেশ। দিলারা-রুবাইয়ার পর শরিফা ১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
ভারতের বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ও আশা সোবাহানা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।