সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা, তবু জয়ের আশায় আকবররা

hfদক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলা বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় এই চ্যালেঞ্জের সামনেই পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের যুবারা। এমনিতেই শক্তিশালী দল, তার ওপর নিজেদের মাঠে খেলা- সব মিলিয়ে বেশ কঠিন পরিস্থিতি। যদিও বাংলাদেশ যুবদলের অধিনায়ক আকবর আলী ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আকবর আলী, ‘আমার মনে হয় ফিফটি-ফিফটি চ্যালেঞ্জিং খেলা হতে চলেছে। কারণ তারা দারুণ একটা দল। তবে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই ভালো করলে তাদের হারানো সম্ভব।'

চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেই আসল লড়াইয়ের ঝাঁঝটা বুঝেছেন আকবররা। ওই ম্যাচে ১০৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বেঁচে যায় বৃষ্টির আশীর্বাদে। তবে অধিনায়ক আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারছেন ওই ম্যাচে ভুলটা কোথায় হয়েছিল, ‘পাকিস্তান ম্যাচে ব্যাটিং এতোটা ভালো হয়নি। আমরা কিছু বাজে শট খেলেছি।'

পাকিস্তান ম্যাচের ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের, ‘চেষ্টা করছি কীভাবে ভুলের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়। ব্যাটিংয়ের দিকে আমরা মনোযোগ বেশি দিয়েছি। বোলিংয়ে আমরা প্রথম পাওয়ার প্লে এবং শেষ পাওয়ার প্লেতে আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের চেষ্টা করবো। তাদের বিপক্ষে লাইন লেংথ বজায় রাখার লক্ষ্য থাকবে।'

আসল লড়াইয়ের আগে চোটের থাবা পড়েছে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন। আরেক অলরাউন্ডার শামীম হোসেনেরও চোট ছিল। তবে তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আকবর, ‘ইনজুরির ওপর আমাদের কোনও হাত নেই। মৃত্যুঞ্জয়কে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু শামীম ম্যাচ শুরুর আগে সেরে উঠবে বলে আশাবাদী। একাদশে যারাই সুযোগ পাবে, চেষ্টা করবে নিজেদের সেরাটা দিতে।’