ফাইনালে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারবেন শামীম?

ফাইনালে শামীমের কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা তার প্রথম কোচের (ছবি-সাজ্জাদ হোসেন)২০১৫ সালে সফরকারী পশ্চিমবঙ্গ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিপক্ষে ২২৬ রানের দুর্দান্ত  ইনিংসে ঘুরে যায় জীবনের মোড়। পরের বছরই সুযোগ পেয়ে যান ‍যুব বিশ্বকাপ দলের ক্যাম্পে। সেবার অবশ্য মূল দলে সুযোগ পাননি। তবে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শামীম হোসেন। রবিবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে তার দিকে তাকিয়ে দল।

কেন তাকিয়ে তার কারণ আছে। চাঁদপুর থেকে উঠে আসা শামীম সতীর্থদের কাছে ‘অক্সিজেন’ নামে পরিচিত। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি শামীমকে ছাড়া দল যেন অচল! ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই তিনি দক্ষ। 

ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্যাট করতেন তিন বা চার নম্বরে। কিন্তু দলের স্বার্থে বিশ্বকাপ ক্যাম্প থেকে তার পজিশন পাঁচ বা ছয় নম্বর। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও (১০, ২ ও ১ রান) অফব্রেক বোলিংয়ে শামীম উজ্জ্বল। শেষ তিন ম্যাচে নতুন বল হাতে নিয়ে সাফল্য এনে দিয়েছেন দলকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথম উইকেট ছিল তারই। ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও ইকোনমি দুর্দান্ত—৩.৭৫।

চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ক্রিকেট-জীবন শুরু শামীমের। সেখানে অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগে খেলে ২০১৫ সালে ভর্তি হন বিকেএসপিতে।

ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ছিলেন চাঁদপুর জেলা কোচ শামীম ফারুকের তত্ত্বাবধানে। ফাইনালে শামীমের কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা তার প্রথম কোচের, ‘আমার একাডেমির দুজন খুব ভালো খেলছে। সেমিফাইনালে মাহমুদুল সেঞ্চুরি করেছে। এখন শামীমের বড় ইনিংসের অপেক্ষায় আছি। বোলিংয়ে ভালো করলেও ভালো ইনিংস খেলতে পারেনি বিশ্বকাপে। আশা করি ফাইনালে ভালো ব্যাট করতে পারবে।’

চাঁদপুরের টিভি টুর্নামেন্টে ৮-৯ বছরের শামীমের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ এলাকার বড় ভাইরা ভর্তি করে দেন ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখানে কোচ শামীম ফারুকের মন জয় করতেও সময় লাগেনি, ‘শামীম সহজাত প্রতিভা। দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম ও প্রতিভাবান। আশা করি অনেক দূর যাবে।’  

ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতো শামীম ফিল্ডিংয়েও দক্ষ। অধিনায়ক আকবর আলীর চোখে তিনি দলের সেরা ফিল্ডার। শামীমের প্রথম কোচও তার ফিল্ডিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘আগে বাচ্চাদের সামনে ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ দিতাম জন্টি রোডসকে। এখন আমাদের শামীমকে সামনে আনি। শামীমকে চেনে বলে ওদের মধ্যে তার মতো ফিল্ডার হওয়ার আগ্রহ জেগে ওঠে।’