এবার বাড়ি ফেরার পালা

বিশ্বকাপ জয়ী যুবারা দেশে ফিরেছেন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেনএক মাস দেশের বাইরে কাটিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সোনালি ট্রফি নিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখে এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় এই তরুণেরা। বুধবার বিকেলে দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেটাররা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

অবশ্য অনেকের স্বজনেরা মঙ্গলবার ঢাকা এসেছেন তাদের নিতে। তবে যুবদলের ক্রিকেটার-কোচদের তাদের স্বজনদের কাছে ফেরার ব্যবস্থাও সম্পন্ন করে রেখেছে গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিমানে ও বাসে করে পরিবারের কাছে ফিরবেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ক্রিকেটারদের মধ্যে নয়জন ফিরবেন বিমানে। আর চারজন বাসে করে বাড়ি ফিরবেন। বাকিরা থাকবেন ঢাকায়।

পেসার শরীফুল ইসলাম, অধিনায়ক আকবর আলী ও আরেক পেসার শাহীন আলম বিমানে যাবেন সৈয়দপুর। সেখান থেকে সড়ক পথে স্ব-স্ব ঠিকানায় যাবেন তারা। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের গন্তব্য কক্সবাজার।

এ ছাড়া বিমানে করে চট্টগ্রামে যাবেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং শাহাদাত হোসেন। তানজিম হাসান সাকিব যাবেন সিলেটে। মেহরাব হোসেন রাজশাহী এবং অভিষেক দাস বিমানে যাচ্ছেন যশোরে।

বাসে করে বগুড়া যাচ্ছেন তানজিদ হাসান তামিম এবং তৌহিদ হৃদয়। বিমানে গেলে তাদের সৈয়দপুরে নামতে হবে, সেখান থেকে আবার বগুড়ায় ফেরা ঝামেলা মনে করে সড়ক পথই বেছে নিয়েছেন তারা।

এছাড়া চাঁদপুরগামী বাসে চড়বেন শামীম হোসেন ও সেমিফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়। বাসে করে কুমিল্লা যাচ্ছেন বাংলাদেশ যুব দলের ফিল্ডিং কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ও বোলিং কোচ মাহবুব আলী জাকি।

এদিকে আকবর আলীর বাবা-মা আগের দিন ঢাকায় এসে ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভর বাসায় উঠেছিলেন। বুধবার মিরপুরে কেক কাটার সময়ও উপস্থিত ছিলেন তারা।

ট্রফি নিয়ে দেশে আসতে পেরে রোমাঞ্চিত অধিনায়ক আকবর, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু একটা হতে পারে। তবে এত বড়ভাবে হবে সেটা ভাবিনি। সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখে ভালো লাগছে।’

কঠিন সংগ্রাম করে উঠে আসা শাহাদাত হোসেনের যেন মনই টিকছে না। ব্যাগ গোছাতে গোছাতেই জানালেন, ‘কখন বাড়ি যাব সেই অপেক্ষায় আছি। কতদিন মা, ভাই-বোনদের দেখি না। অনেক কথা জমে আছে।’