মার্শালের সেঞ্চুরির পর চাপে দক্ষিণাঞ্চল

মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরি (ফাইল ছবি)১৩ রানে ২ উইকেট, এরপর ১০০ না হতেই নেই ৬ উইকেট। দক্ষিণাঞ্চলের বোলিংয়ের সামনে দিশেহারা মধ্যাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। কঠিন পরিস্থিতিতে একপ্রান্ত আগলে খেলে গেছেন শুধু মার্শাল আইয়ুব। সেঞ্চুরির আনন্দে মেতে দলকে নিয়ে যান ভালো অবস্থানে। তার সঙ্গে শেষদিকে ‘ব্যাটসম্যান’ মোস্তাফিজুর রহমানের ঝড়ে অলআউট হওয়ার আগে মধ্যাঞ্চল করে ২৩৫। এরপর প্রথম ইনিংস শুরু করা দক্ষিণাঞ্চলও নেই স্বস্তিতে, ২৯ রান তুলতে হারিয়েছে ২ উইকেট।

কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বিসিএলে তৃতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছে মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল। আজ (শুক্রবার) প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মধ্যাঞ্চল শুরুতেই পড়ে বিপদে। পাকিস্তানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে অভিষেক ম্যাচটিকে ভুলে যেতে চাইবেন সাইফ হাসান। ‘ডাক’ মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা এই ওপেনার বিসিএলেও ব্যর্থ। তিনি ১ রান করে আউট হলে মধ্যাঞ্চল হারায় প্রথম উইকেট।

সেই শুরু, এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৮), আব্দুল মজিদ (১৪), রকিবুল হাসান (১১), শুভাগত হোম (১৪) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০)। তাদের ব্যর্থতায় একা লড়ে গেছেন মার্শাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০তম সেঞ্চুরি পূরণ করে আউট হয়েছেন ১১৬ রানে। ১৮৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ১২ চার ও ২ ছক্কায়।

বোলিংয়ে নিজের কাজ করার আগেই ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মোস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে ২৬ বলে অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে, ১ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪ ছক্কা।

বোলিংয়ে দারুণ দিন কাটিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। সবচেয়ে সফল মেহেদী হাসান, এই স্পিনারের শিকার ৩ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও নাসুম আহমেদ।

মধ্যাঞ্চলকে গুটিয়ে দেওয়ার পর প্রথম ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। ১০ রানে তারা হারায় শাহরিয়ার নাফীসের (১০) উইকেট। রান আউট হয়ে ফিরে যান ইরফান শুক্কুর (৩)। দিনের বাকিটা পার করে দিয়েছেন এনামুল হক (১৩*) ও শামসুর রহমান (৩*)।