ক্রিকেটে ‘দুঃস্বপ্নের’ এক দিন আজ

এহসানুল আউট, ম্যাচের প্রথম তিন বলে উইকেটের আনন্দ ভাসেরপ্রথম বিশ্বকাপ ভালোই কেটেছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় গড়ে দিয়েছিল টেস্ট স্ট্যাটাসের সোপান। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। আইসিসির সহযোগী সদস্য কানাডার কাছে ৬০ রানে হার দিয়ে শুরু। পরের ম্যাচে এমনই এক লজ্জার ‘রেকর্ড’ গড়েছিল যা আজও অক্ষু্ন্ন। আর রেকর্ডটা হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১৭ বছর আগে, ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

পিটারমারিজবার্গে সেদিন প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। সিটি ওভালের গ্যালারিতে দর্শকেরা বোধহয় ‍গুছিয়ে বসতেও পারেননি। ম্যাচের শুরুতেই তারা এমন দৃশ্য দেখেছিলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে যা আগে কখনও হয়নি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই চামিন্ডা ভাসের তোপে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভাসের করা ম্যাচের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান হান্নান সরকার। পরের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ভাস তখন হ্যাটট্রিকের সামনে।

তৃতীয় বলের মুখোমুখি এহসানুল হক। তার ব্যাটে লেগে বল স্লিপে মাহেলা জয়াবর্ধনের তালুবন্দি হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ভাস। ওয়ানডেতে প্রথম তিন বলেই উইকেট শিকারের প্রথম কীর্তি শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি পেসারের। ভাসের পর আর কেউ এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।

সেদিন প্রথম ওভারে উইকেট পড়েছিল আরেকটি। চতুর্থ বলে সানওয়ার হোসেন চার মারার পর ওয়াইড করেছিলেন ভাস। পরের বলেই (ওভারের পঞ্চম) সানওয়ার এলবিডাব্লিউ। ওভারের শেষ বলটি অলক কাপালি ঠেকিয়ে দেন কোনক্রমে।

সেদিন বলতে গেলে ভাসের কাছেই হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। হান্নানের ওপেনিং সঙ্গী আল শাহরিয়ার আর মাশরাফি মুর্তজার উইকেটও নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান পেসার। বোলিং ফিগার ৯.১-২-২৫-৬!

১২৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে যায় ১০ উইকেটে। মারভান আতাপাত্তু (৬৯*) আর সনাথ জয়াসুরিয়া (৫৫*) ২১.১ ওভারেই জয় এনে দেন দলকে।

২০০৩ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যর্থ বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড আর কেনিয়ার কাছে হেরে শূন্য হাতে ফিরেছিল খালেদ মাসুদের দল।