যার সবশেষটা যোগ করেছেন আজ (শুক্রবার)। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১০৭ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন এই অফ স্পিনার। উত্তরাঞ্চলের মুশফিকুর রহিম ও আরিফুল হকের উইকেট দুটি ছাড়া সবই তার দখলে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) প্রথম পান ৮ উইকেট। ১০৬ রানে দিয়ে গড়েন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য সেটি টিকেছিল মাস দুয়েকের মতো। ওই বছরের ডিসেম্বরেই সেটিকে নতুন করে লেখেন তিনি। বিসিএলে ৪৭ রান খরচায় নেন ৮ উইকেট। সেই বিসিএলেই আবার ইনিংসে পেলেন ৮ উইকেট।
ছোট্ট ক্যারিয়ারে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনবার ৮ উইকেট নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। নাঈম নিজেও বুঝতে পারছেন মূল্যটা। সামনে যে ব্যাটসম্যানই থাকুক, চোখে চোখ রেখে ঘায়েল করেন। তবে কথা বলায় তিনি ভীষণ সংযত। এত বড় অর্জনের পরও স্বল্পভাষী। ‘খুব ভালো লাগছে’— কক্সবাজার থেকে মুঠোফোনে বললেন বাংলা ট্রিবিউনকে।
কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামের উইকেট থেকে কিন্তু খুব একটা সহায়তা পাননি নাঈম। পরিকল্পনার সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এই সাফল্য। তাই কৃতিত্ব দেখছেন নিজেরই, ‘শুরুর দিকে উইকেট একটু ভেজা থাকলেও পরে শুকিয়ে যায়। একদম ফ্ল্যাট উইকেট বলতে যা বোঝায়। কৃতিত্ব আসলে নিজেকেই দিতে হবে। কারণ পরিকল্পনা করে উইকেট পেতে হয়েছে। ব্যাটসম্যান বুঝে বল করেছি, তাতেই এসেছে সাফল্য।’
আর এই সাফল্য তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আফ্রিকার দলটি ঢাকা আসছে আগামীকাল (শনিবার)। ঢাকায় তারা বিসিবি একাদশের সঙ্গে দুইদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে নামবে টেস্ট পরীক্ষায়। এই ম্যাচেই চোখ রাখছেন নাঈম, ‘অবশ্যই (বিসিএলের পারফরম্যান্স) আত্মবিশ্বাস জোগাবে। বিসিএলে দুটি ম্যাচ খেললাম। এক ম্যাচ খেলে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম, সেখানেও ভালো করেছি। এক ইনিংসে পেয়েছিলাম ৬ উইকেট। ঘুরে এসে পেলাম ৮ উইকেট। অনেকদিন যেহেতু টেস্ট খেলি না, সেই হিসেবে এই পারফরম্যান্স সামনে ভালো করতে সাহায্য করবে।’
তা করারই কথা। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে এবারের বিসিএলের প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে পেয়েছিলেন ৮ উইকেট (২+৬)। ফিরে এসে প্রথম ইনিংসে নিলেন ৮ উইকেট। অর্থাৎ, সবশেষ তিন ইনিংসেই তার ১৬ উইকেট। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে টিম ম্যানেজমেন্টকে তার পরিষ্কার বার্তা, ‘আমি প্রস্তুত’।
বিসিএলে ভালো করে গেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে কিন্তু একাদশে থাকতে পারেননি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্টটি যেহেতু দেশের মাটিতে, তাই নাঈমের খেলার সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি ছিল। আর আজ বিসিএলে যা করলেন, তাতে করে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে একাদশের বাইরে রাখবেন কী করে?