বিরূপ অভ্যর্থনার জন্য স্মিথ-ওয়ার্নাররা প্রস্তুত!

ওয়ার্নার-স্মিথের সামনে প্রোটিয়া ভক্তদের ‘অভ্যর্থনা’ সামলানোর চ্যালেঞ্জপ্রায় দুই বছর পর আবার তারা দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৮ সালের মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। নিষেধাজ্ঞা শেষে ক্রিকেটে ফিরে দারুণ ছন্দে আছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা ব্যাটসম্যান। এবার তাদের সামনে প্রোটিয়া ভক্তদের ‘অভ্যর্থনা’ সামলানোর চ্যালেঞ্জ। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের বিশ্বাস, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেও সমস্যা হবে না ওয়ার্নার-স্মিথের।

এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোনও টেস্ট নেই, তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। জোহানেসবার্গে প্রথম টি-টোয়েন্টি ২১ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরের দুই টি-টোয়েন্টির ভেন্যু পোর্ট এলিজাবেথ ও কেপটাউন। ওয়ানডে তিনটি হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি, ৩ ও ৭ মার্চ।

আবার প্রোটিয়াদের মাটিতে পা রেখেই ল্যাঙ্গারকে কথা বলতে হয়েছে ওয়ার্নার-স্মিথকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কোচ সংবাদমাধ্যমের কৌতূহল মিটিয়েছেন ভালোমতোই, ‘আসলে গত বছর ইংল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মহড়া হয়ে গিয়েছিল। ওদের দুজনের জন্য সফরটা খুব কঠিন ছিল। তবে ব্যাট যেভাবে ওদের হয়ে কথা বলেছে তাতে আমরা গর্বিত। এখানে ফিরতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিতও।’

অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ধারণা, দর্শকেরা বিদ্রূপ করলেও সমস্যা হবে না ওয়ার্নারদের, ‘এমনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভক্তরা খুব আবেগপ্রবণ। তবে একই সঙ্গে তারা উচ্চকণ্ঠ। আমরা যেকোনও কিছুর জন্য প্রস্তুত। ডেভিড (ওয়ার্নার) তো দুয়ো পছন্দই করে। এটা তাকে উজ্জীবিত করে তোলে।’