‘জিতলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে’

তাইজুল ইসলামটেস্টে জেতার স্বাদটা কেমন, হয়তো ভুলেই গেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টানা ৬ টেস্টে হার, একটি দেশের মাটিতেই আফগানিস্তানের কাছে। এবার জয়ে ফিরতে চায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, আর ম্যাচটি নিজ মাঠে। তলানিতে ঠেকতে বসা আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারের জয়ের বিকল্প কিছু দেখছেন না তাইজুল ইসলাম।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। ওই ম্যাচের আগে আজ মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। হেরে যাওয়া টেস্টগুলোর পাঁচটিই ছিল বিদেশের মাটিতে। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি খেলোয়াড়দের মনে। তাইজুল বললেন সেই কথা, ‘আসলে দেশে যখন খেলা হয়, নিজের কাছে একটু অন্যরকম লাগে। ভালো করবো বা করতে হবে, সেই অনুভূতি কাজ করে। আমার মনে হয় ভালো করাই স্বাভাবিক।’

আফগানিস্তানের কাছে দেশের মাটিতে হারের পর ভারত ও পাকিস্তানে গিয়ে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। দুই শক্তিশালী দলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। তবে জিম্বাবুয়েকে সামনে পেয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ জিতবে। একে চাপ হিসেবে নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফেরাতে জিততে মরিয়া স্বাগতিকরা। ১০৮ উইকেট নেওয়া দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ টেস্ট বোলার বললেন, ‘অবশ্যই জেতা প্রয়োজন, সেটা জিম্বাবুয়ে হোক কিংবা অন্য কোনও দল। জিতলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে। আমাদের দলের জন্যও সেটা ভালো হবে।’

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে পেলেই তাইজুল যেন হিংস্র হয়ে ওঠেন। ক্যারিয়ার সেরা ৩৯ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়েছে এই আফ্রিকান দলটির বিপক্ষেই, ২০১৪ সালে ঢাকায়। টেস্টে সব দলের বিপক্ষেই উইকেট পেয়েছেন, তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩৫টি। এবারও তার নামই আলোচিত হচ্ছে বেশি। কিন্তু আলোচনায় থাকতে আপত্তি ২৮ বছর বয়সী স্পিনারের, ‘এই কথাটা (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলোচনা) ভালো লাগলো না। কারণ কেবল জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই আমি যে উইকেট পেয়েছি, সেটা তো না। অন্য প্রতিপক্ষেরও উইকেট নিয়েছি। আগেই বলেছি, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন আপনাকে ঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে। ভালো বল না করলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের কাছেও মার খেতে হবে।’

২০১৮ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন তাইজুল, ম্যাচে নেন ১১ উইকেট। কিন্তু দল হেরে যায় ১৫১ রানে। ওই হারকে ‘দুর্ঘটনা’ মানতে নারাজ এ স্পিনার, ‘আমি ওটাকে দুর্ঘটনা বলবো না। আমরা খারাপ খেলেছি বলেই হেরেছি। পরের ম্যাচ ভালো খেলে আমরা জিতেছি। ভালো না খেললে হারাই স্বাভাবিক।’

হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশ স্পিনেই ভরসা করে। সাকিব আল হাসান না থাকায় এবার তাইজুলই স্বাগতিকদের প্রধান অস্ত্র। কিন্তু সাকিবের ঘাটতি পূরণ করা কঠিন স্বীকার করলেন তিনি, ‘আমরা যারা স্পিনার আছি এখন, তারা সাকিব ভাইয়ের মতো না। তার জায়গা পূরণ করার মতো স্পিনার নেই। পাকিস্তানেও স্পিনাররা গিয়েছিল খেলতে, কিন্তু ওই মানের স্পিন বোলার নেই বলেই হয়তো এমন ফলাফল হচ্ছে।’