দুই না এক পেসার, জানেন না জায়েদ

আবু জায়েদমিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একমাত্র টেস্টে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। পুরোনো অভিজ্ঞতা ও মিরপুরের উইকেটের যে ধরন তাতে  বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিনারনির্ভর হবে বলেই ধারণা। কেননা মিরপুরের উইকেটে মন্থর হওয়াতে ওখানে পেসারদের বিশেষ কিছু করার থাকে না।

মিরপুরে খেলা সর্বশেষ তিনটি টেস্টেই স্পিননির্ভর একাদশ গড়েছিলো বাংলাদেশ।  ২০১৮ সালে খেলা ওই তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানকে নেওয়া হয়েছিল একাদশে। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে সাজানো হয়েছিল স্পিন আক্রমণ। যদিও লাভ হয়নি, বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যায় ২১৫ রানে। একই বছর নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাইজুল ও মেহেদী হাসানের সঙ্গে দুই পেসার মোস্তাফিজ ও খালেদ আহমেদকে নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজায় বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে ২১৮ রানে জেতে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটিতে কোনও পেসার ছাড়াই খেলেছে বাংলাদেশ। সাকিব, মেহেদী, নাঈম, তাইজুলকে নিয়ে গড়া স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হার মানে সফরকারীরা।

শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে বিশেষজ্ঞ পেসারহীন বাংলাদেশ একাদশ দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে অন্তত একজন পেসার খেললে তিনি সম্ভবত আবু জায়েদ রাহীই হবেন। কিছুদিন ধরে টেস্টে নিয়মিত আবু জায়েদ। স্পিননির্ভর উইকেটে কাজটা বেশ কঠিন, সেক্ষেত্রে নিজের ভূমিকাটাও জানেন, ‘দলের জন্য কী করতে হবে, সেটা জানাটাই আসল। দুই পেসার খেলবে নাকি এক পেসার তা এখনও জানি না। বিসিএল বা জাতীয় লিগে স্পিনাররা বেশি রান দিলে পেসারদের কাজ হয় রান আটকানো। এতে স্পিনাররা পরে এসে উইকেট নিতে পারে। দলের জন্য যেটা কাজে লাগবে, সেটা করাই আসল লক্ষ্য।’

বাংলাদেশের সর্বশেষ খেলা ছয় টেস্টের মধ্যে শুধু ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই একাদশে ছিলেন না জায়েদ। সেই টেস্টে অবশ্য পেসার ছাড়াই খেলেছে  বাংলাদেশ। তার আগে নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্ট, পরে ভারতে দুই টেস্ট এবং সর্বশেষ খেলে এসেছেন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একজন পেসার খেললে জায়েদ যে খেলবেন এটা নিশ্চিত। টেস্টে নিয়মিত হতে পেরে দারুণ আত্মবিশ্বাসী এই পেসার, ‘থাকবো কি থাকবো না, এ রকম চিন্তা ঢুকলে পারফর্ম করা কঠিন। এক ফরম্যাটেই খেলবো, এটা জানা থাকলে ভালো খেলা সহজ হয়ে যায়। আমি দেশের হয়ে অনেক টেস্ট খেলতে চাই। এখন পর্যন্ত আটটি টেস্ট খেলেছি। অন্তত ৫০ থেকে ৭৫টা টেস্ট খেলতে চাই।’