অ্যাগারের হ্যাটট্রিকে লজ্জায় ডুবলো দক্ষিণ আফ্রিকা

উড়ছেন ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ অ্যাশটন অ্যাগারদ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক পেলেন অ্যাশটন অ্যাগার। এই স্পিনারের কীর্তিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার ‍সঙ্গে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবছে তারা নিজেদের মাঠেই! অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরেছে ১০৭ রানে।

২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে করে ১৯৬ রান। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে অ্যাগারের স্পিন বিষে নীল দক্ষিণ আফ্রিকা। হ্যাটট্রিক করা বাঁহাতি স্পিনার ২৪ রান দিয়ে নেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। তার সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা (২/৯) ও প্যাট কামিন্সের (২/১৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট স্বাগতিকরা।

এটাই টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রানের ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৯৮ রানের। শুধু তা-ই নয়, সবচেয়ে বড় হারের লজ্জাও তাদের দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের সর্বোচ্চ হারের ব্যবধান ছিল ৯৫ রানের, আর এবার ১০৭ রানের। বিশাল ব্যবধানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের গতিঝড়ে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর অ্যাগারের হ্যাটট্রিকে শুধু আসা-যাওয়ার দৃশ্যই দেখা গেছে। ফাফ ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে শুরু করেন হ্যাটট্রিক যাত্রা, এরপর অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার পরের দুই বলে তুলে নেন আন্দিলে ফিকেয়াও ও ডেল স্টেইনের উইকেট। এতে ব্রেট লি’র পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের কৃর্তি গড়েন অ্যাগার।

অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র তিন ব্যাটসম্যান যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। সর্বোচ্চ ২৪ রান করা ডু প্লেসির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে কাগিসো রাবাদার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে এই পেসারের ব্যাট না হাসলে আরও বড় লজ্জায় ডুবতো প্রোটিয়ারা।

এর আগে ব্যাটিংয়েও দারুণ ছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ (৩২ বলে ৪৫) ও অ্যারন ফিঞ্চের (২৭ বলে ৪২) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে সফরকারীরা। ২৭ রান করেন অ্যালেক্স ক্যারি। বোলিংয়ে জাদু দেখানোর আগে অ্যাগার ব্যাট হাতেও দেখিয়েছেন দাপট। মাত্র ৯ বলে অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। ব্যাট-বলে এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার তো তার হাতেই মানায়।