ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর কিউইদের লিড

কেন উইলিয়ামসন খেলেছেন ৮৯ রানের ইনিংসদ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট ভারত। নিউজিল্যান্ডের পেসারদের সামনে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে তারা মাত্র ১৬৫ রানে। ওয়েলিংটন টেস্টে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ব্যাটিংয়েও ভালো অবস্থানে কিউইরা। অধিনায়ক কেন উইলিয়মাসনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে আলোর স্বল্পতায় দিনের খেলার শেষ হওয়ার আগে স্কোরে জমা করেছে ৫ উইকেটে ২১৬ রান। এরই মধ্যে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে নিয়েছে ৫১ রানের লিড।

বৃষ্টিতে প্রথম দিনে এক সেশন খেলাই হয়নি। সেটা পুষিয়ে দিতে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিনে খেলা হওয়ার কথা ছিল ৯৮ ওভার। যদিও আলোর স্বল্পতায় হয়েছে ৮৪.২ ওভার। অর্থাৎ, আজও পুরো দিন খেলা সম্ভব হয়নি। এরপরও দুই দিন মিলিয়ে পতন হয়েছে ১৫ উইকেটের। ভারত অলআউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে ৫ উইকেট।

প্রথম দিন অভিষিক্ত কাইল জেমিসনের তোপে ৫ উইকেটে ১২২ রান করতে পেরেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিনে জ্বলে ওঠেন টিম সাউদি। তার গতিঝড়ে ১৬৫ রানে শেষ ভারতের প্রথম ইনিংস। দিনের শুরুতে ঋষভ পান্ত (১৯) ফেরেন রান আউটের শিকার হয়ে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন মুখোমুখি প্রথম বলেই আউট। একপ্রান্ত আগলে রেখে আশা দেখানো অজিঙ্কা রাহানে ৪৬ রানে ফিরলে ভারতের অলআউট হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু মোহাম্মদ সামি ২০ বলে ২১ রান করায় ব্যাটিংয়ে নামতে কিছুটা দেরি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। অভিষেকে আলো ছড়িয়ে জেমিসন ৩৯ রান খরচায় পেয়েছেন ৪ উইকেট। সাউদিও ৪ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রান দিয়ে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের শুরু ভালো ছিল না। ২৬ রান তারা হারায় ওপেনার টম ল্যাথামকে (১১)। ওই ধাক্কা কাটিয়ে দাঁড়িয়ে যান উইলিয়ামসন-চম ব্লান্ডেল। ভালো ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্লান্ডেল ফেরেন ৩০ করে। পরের সময়টা রস টেলর ও উইলিয়ামসনের। দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। কিউই অধিনায়কের পর হাফসেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন টেলর। কিন্তু পারেননি, ৪৪ রানে থামেন তিনি।

উইলিয়ামসন পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাসও। যদিও একটুর জন্য হয়নি। ৮৯ রানে মোহাম্মদ শামির শিকারে পরিণত হলে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। ১৫৩ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১১ বাউন্ডারিতে। হেনরি নিকোলস ভালো শুরু পেলেও আউট হয়ে যান ১৭ রানে। এরপর আলোর স্বল্পতায় দিনের শেষ ঘোষণার সময় অপরাজিত থাকেন বিজে ওয়াটলিং (১৪*) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (৪*)।

ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার ইশান্ত শর্মা। এই পেসার ৩১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন শামি ও অশ্বিন।