শনিবার ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল খেলতে নেমেছে। কিন্তু সবার দৃষ্টি ছিল চট্টগ্রামে। কেননা ওখানেই বিসিএলের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলতে নামেন মাহমুদউল্লাহ। ১১২ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা মাহমদুউল্লাহ নিজে তো হতাশ বটেই, পাশাপাশি হতাশ করেছেন ভক্তদেরও। ৪ বলে ১ রান করে বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের শিকারে পরিণত হন এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের অবর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্স সম্প্রতি হতাশাজনক ছিল। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিরে দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৩৬)ও নিউজিল্যান্ডের (১৪৬) বিপক্ষে টানা দুই সিরিজে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটেও বড় ভরসা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন।
কিন্তু ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ চার টেস্টে কোনও ফিফটি নেই মাহমুদউল্লাহর। এই ৮ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৩৯, কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে। ব্যর্থতার মিছিল আরও লম্বা হয়েছে পাকিস্তানে গিয়ে। ওই সিরিজ শেষে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। যার প্রেক্ষিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন।
টেস্টে ফিরতে হলে পারফরম্যান্স করেই মাহমুদউল্লাহকে ফিরে আসতে হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ‘এ মুহূর্তে সে দলের বাইরে। তবে সত্যি বলতে আমি তাকে লাল বলের ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে বলেছি। সে আমাদের দলের সাদা বলের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রিয়াদের কথা যেটা বলব, সে লড়তে জানে। আমি নিশ্চিত সে টেস্ট দলে তার জায়গা পেতে কঠিন লড়াই করবে। তবে টেস্ট দলে জায়গা পেতে হলে তাকে আবার সেভাবেই পারফর্ম করে ফিরতে হবে।’
মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থ হলেও ফজলে মাহমুদ ও এনামুল হকের ১৩৬ রানের জুটিতে দিন শেষে শক্ত অবস্থানে দক্ষিণাঞ্চল। দুই ওপেনারের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তাদের। ৭৬ রানে এনামুলকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নেয় পূর্বাঞ্চল। দলকে ১৮৯ রানে রেখে বিদায় নেন ফজলে। ইনিংস সেরা ৮৬ রান করেন ১৫৫ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে। এরপর ৩০ ছাড়ানো ইনিংসে অবদান রাখেন আল আমিন (৩৯) ও মেহেদী হাসান (৩৬)। শামসুর রহমান ৩৭ ও ফরহাদ রেজা ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম দিন শেষে
দক্ষিণাঞ্চল: ৮৮ ওভারে ৩০৫/৬ (ফজলে ৮৬, এনামুল ৭৬, আল আমিন ৩৯, শামসুর ৩৭*, মাহমুদউল্লাহ ১, নুরুল ১৮, মেহেদী ৩৬, ফরহাদ ৮*; রুয়েল ২/৫৮, হায়দার ১/৪১, সাকলাইন ১/৫১, আফিফ ১/১৩)