ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস

iভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং বিতর্ক নতুন কিছু নয়। গত বছর এটা চরম আকার ধারণ করেছিল কর্ণাটক ও সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে। এবারও যে আম্পায়ারদের ‍সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হবে না তা নয়, তবে ‍দলগুলো সুযোগ পাবে সেটা পাল্টে দিতে। প্রথমবার ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু হচ্ছে।

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ও ফাইনালে হবে ডিআরএসের সীমিত ব্যবহার। শনিবার শেষ চারের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলা ও কর্ণাটক। ফাইনালে ওঠার আরেক ম্যাচে সৌরাষ্ট্র খেলবে গুজরাটের সঙ্গে। প্রতিটি দল এক ইনিংসে চারটি করে রিভিউ পাবে। অবশ্য ডিআরএসে হকআই, স্নিকোমিটার কিংবা আল্ট্রাএজের মতো ‍প্রযুক্তি থাকবে না। এলবিডাব্লিউ সিদ্ধান্ত ঠিক আছে কি না জানতে ভার্চুয়াল পিচ ম্যাপ ও স্লো মোশন ক্যামেরার ব্যবহার হবে।

সীমিত সুবিধা নিয়ে হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএসের ব্যবহার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগেই এতে কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া আম্পায়ারিং বিতর্কের অবসানও ঘটবে, এমনটাই আশা বাংলার কোচ অরুণ লালের, ‘ডিআরএসে আমার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। সীমিত আকারে ব্যবহার হলেও আমার বিশ্বাস বড় ধরনের ভুলগুলো এড়ানো যাবে।’

দু’বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন বাংলার বর্তমান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ডিআরএস নিয়ে রোমাঞ্চিত, ‘এটা নতুন একটা ব্যাপার। তবে আমি মনে করি ছেলেরা ‍টেলিভিশনে ক্রিকেট অনেক দেখেছে, আশা করি তারা জানে এটা কীভাবে কাজ করে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআএরস খুব ভালো হবে, বিশেষ করে নকআউট পর্বে। যদিও খুব বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার হবে না।’