পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ওয়ানডের ৩৪ বছর

বহুজাতিক সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপার হাসিটেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি। ‍বিশেষ করে, মাশরাফি মুর্তজার নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখা যায়। ছন্দময় ক্রিকেটে এই সংস্করণে আজ (মঙ্গলবার) লাল-সবুজ জার্সিধারীরা পূর্ণ করেছে ৩৪ বছর। তিন দশকের এই সময়কালে দারুণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছে বাংলাদেশ। তারই কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলা ট্রিবিউন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

পরিখ্যানে বাংলাদেশের ওয়ানডের ৩৪ বছর:

  • ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ।
  • বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডেতে করেছিল ৯৪ রান।
  • বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
  • প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক শহীদুর রহমান (৩৭)।
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বলটি মোকাবিলা করেন রকিবুল হাসান।
  • নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের কোনও ব্যাটসম্যান বাউন্ডারি মারতে পারেননি।
  • বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা। পাকিস্তানের দুটি উইকেট নিয়েছিলেন ৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসার।
  • বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস প্রাপ্তি ১৯৯৭ সালে।
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয় কেনিয়ার বিপক্ষে, ১৯৯৮ সালের ১৭ মে। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৬ উইকেটের জয় পেয়েছিল।
  • বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেছেন আজহার হোসেন, ১৯৯০ সালের ২৮ এপ্রিল।
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন মেহরাব হোসেন অপি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ।
  • ওয়ানডেতে প্রথম ৫ উইকেট নিয়েছেন আফতাব আহমেদ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর।
  • ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। তিনি ২০৭ ম্যাচে ৭ হাজার ২০২ রান করেছেন।
  • রানের মতো সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতেও শীর্ষে তামিম। ১৩ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি আছে তামিমের।
  • ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস লিটন দাসের। এ বছরের ৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
  • ওয়ানডেতে সবেচেয়ে ভালো ব্যাটিং গড় সাকিব আল হাসানের। ২০৬ ম্যাচে ৩৭.৮৬ গড়ে সাকিবের রান ৬ হাজার ৩২৩।
  • গত বিশ্বকাপে ৬০৬ রান করে সাকিব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন।
  • ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কারও স্ট্রাইক রেটই ১০০ নয়। সবচেয়ে এগিয়ে থাকা সৌম্য সরকারে স্ট্রাইক রেট ৯৮.৫৭।
  • সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন হাবিবুল বাশার, ১৮ ম্যাচে।
  • সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা, ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট।
  • সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ৬৪টি।
  • সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়া কাটার মাস্টার ৫বার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
  • সেরা বোলিং ফিগার মাশরাফির। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
  • সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মাশরাফি, ৮৮ ম্যাচে।
  • ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফল অধিনায়কও মাশরাফি। তার নেতৃত্বে জয় ৫০টিতে এবং পরাজয় ৩৬টিতে। জয়ের হার- ৫৮.৫৩%।
  • বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোট ১৪জন অধিনায়ক।
  • সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি ও মুশফিক, ২১৮ ম্যাচ।
  • সর্বোচ্চ রানের জুটি তামিম-লিটনের। ২০২০ সালের ৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে দুই ওপেনার ২৯২ রানের জুটি গড়েন।
  • সবচেয়ে বেশি ডিসমিসিয়াল করেছেন মুশফিকুর রহিম (২২৩)।
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ মুখোমুখি সব দলকেই হারাতে সক্ষম হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ৭৫ ম্যাচে ৪৭ জয়।
  • রানের হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। ২০২০ সালের ১ মার্চ সিলেটে, ১৬৯ রানে বাংলাদেশের কাছে হারে জিম্বাবুয়ে।
  • উইকেটের হিসাবে বাংলাদেশের বড় জয় কেনিয়ার বিপক্ষে,  ৯ উইকেটে।
  • বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৩। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে এই রান করেছিল বাংলাদেশ।
  • বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ৫৮। ২০১১ সালের ৪ মে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০১৪ সালের ১৭ জুন ভারতের বিপক্ষে এই লজ্জায় ডুবতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
  • ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক কোনও টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
  • ২০০৯ সালে ১৯ ওয়ানডে খেলে ১৪টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। জয়ের হার ছিল ৭৩ শতাংশ। এটাই নির্দিষ্ট কোনও বছরে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
  • ২০১২ ও ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছিল এশিয়া কাপ। ওই দুই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলে। বৈশ্বিক কোনও টুর্নামেন্টে এটাই বাংলাদেশে সেরা সাফল্য।
  • এই ৩৪ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে উপভোগ্য লড়াই। বিশেষ করে, ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি মানেই যেন বাড়তি উত্তেজনা!