আইসিসি ট্রফি জিতিয়ে ‘শ্বশুর পেয়েছেন’ পাইলট!

সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটকিপার খালেদ মাসুদ পাইলটবাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে রূপকথা হয়ে আছে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়। কেনিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ম্যাচটা সহজ করে নিয়েছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। এরপর ৭ বলে ১৫ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। যে জয়ে ব্যক্তিগত জীবনেও ‘প্রাপ্তি’ যোগ হয় তার!

আইসিসি ট্রফির ঐতিহাসিক ইনিংস পাইলটকে উপহার দিয়েছে অনেক সম্মান। পাশাপাশি ওই ট্রফি জয়ের পর শ্বশুরের সঙ্গে মান-অভিমান ভেঙে এক হয়ে যান তারা। মঙ্গলবার তামিমের লাইভ আড্ডায় এমন মজার তথ্য দিয়েছেন পাইলটের সতীর্থ ও আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান। 

তামিমের লাইভ আড্ডায় তাদের সঙ্গে ছিলেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আড্ডায় এক পর্যায়ে আকরাম দিয়েছেন মজায় তথ্য। আইসিসি ট্রফি জিতিয়ে শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা নয়, পাইলটের ব্যক্তিগত জীবনেও যোগ হয়েছিল বড় ‘প্রাপ্তি’।

সেটা কিভাবে? আকরাম বললেন, “পাইলট বলেছিল, ‘শেষ ওভারে যদি ১১ রান করে দলকে জেতাতে পারি, তাহলে এর জন্য আল্লাহ আমার কাছ থেকে ভালো কিছু নিয়ে গেলে নিয়ে যাক।’ কিন্তু আল্লাহ তার কিছু তো নেয়ইনি, বরং আইসিসির পর সবচেয়ে ভালো জিনিসটা পেয়েছিল পাইলট।”

এরপর আকরাম পুরো ঘটনা খুলে বললেন, ‘সবাই বলে না আইসিসির পরে একজন এটা পেয়েছে তো আরেকজন অন্যকিছু পেয়েছে। পাইলট কী পেয়েছে? আসলে সে যখন আইসিসি ট্রফিতে খেলতে যায়, তখন কিন্তু সে বিয়ে করে যায়। আর তখন তার শ্বশুর তাকে দেখতে পারতো না। অথচ যখন আমরা ফিরে আসলাম, তখন দেখলাম, তার শ্বশুর তাকে সোনার চেইন পরিয়ে দিচ্ছে। এ স্মৃতি আমি কখনও ভুলবো না।’

সাবেক তিন ক্রিকেটারের একে অন্যের কাছে সেরা ইনিংস কোনটি- তামিমের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই পাইলটের শ্বশুরের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন আকরাম।