সৌরভকে সভাপতির পদে রাখতে সুপ্রিম কোর্টে বিসিসিআই

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিইঙ্গিতটা ছিল স্পষ্ট, গত ডিসেম্বরে যখন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছিল। সংশোধন করার কারণ ছিল, বর্তমান সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি যেন পূর্ণ তিন বছর দায়িত্বে থাকতে পারেন। এবার সেটি কার্যকর করতে বিসিসিআই গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

বোর্ডের বর্তমান ধারা অনুযায়ী, পরপর দুই মেয়াদে কেউ রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে তিন বছরের জন্য ‘কুলিং অফ পিরিয়ডে’ থাকতে হবে। বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার আগে সৌরভ টানা পাঁচ বছর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি ও সচিবের পদ সামলেছেন। তাই স্বল্প সময়ের জন্য তিনি পান বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব।

যদিও বিসিসিআই চায় সৌরভের সঙ্গে সচিব জয় শাহকে তিন বছরের পূর্ণ মেয়াদে রাখতে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিচারপতি আরএম লোধার নেতৃত্বাধীন কমিটির করা নতুন ধারাটি। যেটির অনুমোদন দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। তাই সৌরভকে তিন বছর দায়িত্বে রাখতে এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিসিআই।

গত বছরের অক্টোবরে বোর্ড সভাপতির পদ পেলেও বিসিসিআইয়ের ধারা অনুযায়ী সৌরভ দায়িত্ব পান মাত্র ১০ মাসের জন্য। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সামনের মাসে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে সৌরভের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’। সাবেক অধিনায়ককে যেন এই ধারার মারপ্যাচে পড়তে না হয় সেজন্য গত ডিসেম্বরের বার্ষিক সভায় লোধা কমিটির করা ধারা সংশোধন করে বিসিসিআই। নতুন ধারায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বিসিসিআইয়ের পদে টানা দুই বছর দায়িত্বে থাকলেই ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ কার্যকর হবে, রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বের সময় গণনা করা হবে না।

সংশোধিত ধারাটির অনুমোদন নিতেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধামাল আবেদন জমা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ নিয়ে আগের ধারা যারা করেছিলেন, তাদের কোনও অভিজ্ঞতা নেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করার। তাই ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে এই ধারা পরিবর্তন জরুরি।

গত বছরের অক্টোবরে সভাপতি হিসেবে সৌরভ ও সেক্রেটারি পদে বসেন গুজরাজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব সামলে আসা জয় শাহ।