ব্রডের কীর্তিতে সিরিজ ইংল্যান্ডের

ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ছবি: ইংল্যান্ড ক্রিকেটসাউদাম্পটন টেস্ট হেরে লজ্জায় ডুবেছিল ইংল্যান্ড। করোনাভাইরাস বিরতির পর ফিরে এমন দশায় স্বাগতিকদের পারফরম্যান্সের দিকে আঙুল তুলেছিল অনেকেই। ওই টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডকে বাদ দেওয়া নিয়েও হয়েছিল ব্যাপক আলোচনা। সেই ব্রডই শেষ পর্যন্ত নায়ক বনে গেলেন। এই পেসারের ৫০০ উইকেট প্রাপ্তির ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আক্ষরিক অর্থে উড়িয়েই দিযেছে ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টার টেস্ট ২৬৯ রানে জিতে জো রুটরা তিন ম্যাচের সিরিজ সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

প্রথম দুই টেস্ট দুই দল জেতায় ম্যানচেস্টারের শেষ টেস্টটি ছিল সিরিজ জেতার লড়াই। যে লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৯৯ রানের লক্ষ্যে আজ (মঙ্গলবার) পঞ্চম দিনে ক্যারিবিয়ানরা অলআউট হয়েছে মাত্র ১২৯ রানে। প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে সফরকারীরা করতে পেরেছিল ১৯৭ রান।

ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে ব্রড। টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ পেসার ও ইংল্যান্ডের মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি আজই। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া এই পেসারের দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৪ উইকেট। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেটে পাওয়া ব্রডের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। এমনকি দ্বিতীয় টেস্টে অসাধারণ পারফর্ম করা সতীর্থ বেন স্টোকসকে পেছনে ফেলে তার হাতে উঠেছে সিরিজ সেরার পুরস্কারও। অবশ্য পুরস্কারটি তিনি ভাগাভাগি করেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রোস্টন চেসের সঙ্গে।

আগের দিনের ২ উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্রড ও ক্রিস ওকসের পেস ঝড়ে দিশেহারা। দিনের শুরুর ভাগেই ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে ৫০০তম উইকেটের দেখা পান ব্রড। এরপর উইকেট উদযাপন শুরু করেন ওকস, এই পেসার ৫০ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট।

তাদের গতিঝড়ের সামনে সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছে শাই হোপের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২০০৮ সালের পর প্রথমবার পিছিয়ে পড়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলো ইংলিশরা। বিপরীতে ইংল্যান্ডের মাটিতে আরেকটি হার সঙ্গী হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৯৮৮ সালের পর আর ইংল্যান্ডে সিরিজ জেতা হয়নি তাদের। এ নিয়ে টানা সাতবার ব্যর্থ ক্যারিবিয়ানরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৩৬৯ ও ২২৬/২ (ডিক্লে.)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭.১ ওভারে ১২৯ (হোপ ৩১, ব্ল্যাকউড ২৩, ব্রুকস ২২; ওকস ৫/৫০, ব্রড ৪/৩৬)।

ফল: ইংল্যান্ড ২৬৯ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: স্টুয়ার্ট ব্রড।

সিরিজসেরা: স্টুয়ার্ট ব্রড ও রোস্টন চেস।