সাইফউদ্দিনের মনে আনন্দের ঢেউ

করোনাকালের বেশিরভাগ সময় ফেনীতে কাটিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বাড়িতে ফিটনেস নিয়ে বিস্তর কাজ করে মিরপুরে নেমেছিলেন ব্যক্তিগত অনুশীলনে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো অসুস্থতা, ফিরে যেতে হয় আবার ফেনীতে। গত রবিবার শুরু হওয়া স্কিল অনুশীলনে যোগ দিতে ঢাকায় এলেও হোম অব ক্রিকেটে নামা হয়নি তার। মিরপুর একাডেমিতে ছিলেন আইসোলেশনে। অবশেষে বুধবার করোনা নেগেটিভ হয়ে মাঠে ফিরে সাইফউদ্দিনের মনে আনন্দের ঢেউ।

বুধবার সেন্টার উইকেটে কয়েক ওভার টানা বোলিং করেছেন তিনি। প্রিয় মাঠে কয়েক মাস পর ফিরতে পেরে আনন্দে আটখানা সাইফউদ্দিন। সেই অনুভূতি ভাগাভাগি করলেন এভাবে, ‘আলহামদুলিল্লাহ ৬-৭ মাস পর দলের সঙ্গে মিরপুর গ্রাউন্ডে, খুবই আনন্দিত আমি। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আরও কিছুদিন সময় পাবো, তো যতটুকু ওভারকাম করা যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে।’

সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়মিত মুখ সাইফউদ্দিন। ২২ ওয়ানডে ও ১৫ টি-টোয়েন্টি খেলা এই অলরাউন্ডার  প্রথমবার ডাক পেয়েছেন টেস্ট স্কোয়াডে। তাই আনন্দ খানিকটা বেশিই তার, ‘প্রথমবারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং এই ক্যাম্প থেকে যতটুকু পারি শেখার।’

৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সাইফউদ্দিন যোগ করলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট রাখা, স্কিল উন্নতি করা। যদি শ্রীলঙ্কায় যাই সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করবো।’

ফেনীতে মাঠের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সাইফউদ্দিনের স্কিল ট্রেনিংয়ের কোনও সুযোগ ছিল না। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি, কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি, করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুই দিনও বোলিং করেছি (একাডেমিতে)। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি আছে, তবে আশা করি দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে।’