রশিদের ঘূর্ণিতে হায়দরাবাদের প্রথম জয়

ম্যাচসেরা রশিদ খানের উইকেট উদযাপনঅবশেষে জয়ের দেখা পেলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবারের আইপিএলের তৃতীয় ম্যাচে এসে হাসি ফুটলো ডেভিড ওয়ার্নারদের ঠোঁটে। হাসিটা আরও চওড়া হয়েছে ‘অপ্রতিরোধ্য’ দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে। শ্রেয়াস আইয়ারদের প্রথম হারের হতাশায় ডুবিয়ে পেয়েছে প্রথম জয়। আর এই জয়ের নায়ক রশিদ খান। আফগান স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আবুধাবির ম্যাচটি হায়দরাবাদ জিতেছে ১৫ রানে।

গত কয়েক ম্যাচে যে হারে রান উঠেছে, মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটি সেরকম ছিল না। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান করেও সহজ জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ। রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও ভুবনেশ্বর কুমার ২৫ রানে ২ উইকেট তুলে নিলে দিল্লিকে থামতে হয় ৭ উইকেটে ১৪৭ রানে।

১৬৩ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই পৃথ্বি শ’র (২) উইকেট হারায় দিল্লি। ভুবনেশ্বরের বলে জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিল্লি ওপেনার। এরপর উইকেট উৎসবে যোগ দেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রশিদ। তার প্রথম শিকার দিল্লি অধিনায়ক আইয়ার (২১ বলে ১৭)। পরে আফগান স্পিনার ফিরিয়েছেন শিখর ধাওয়ান (৩১ বলে ৩৪) ও ঋষভ পান্তকে (২৭ বলে ২৮)। শিমরন হেটমায়ারের (১২ বলে ২১) ব্যাটে আশা জাগালেও সেটা মিলিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম হারের তিক্ততা পায় দিল্লি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় হায়দরাবাদ। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো যোগ করেন ৭৭ রান। মন্থর শুরুর পর ওয়ার্নারের ব্যাটে রানরেট বাড়ে হায়দরাবাদের। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে বেয়ারস্টোর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ছিলেন দুর্দান্ত। চমৎকার ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে ‍গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে হয়নি। ৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়, ৩৩ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৩ চার ও ২ ছক্কায়।

ওয়ার্নারের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মনিশ পান্ডে (৩)। এরপর এবারের আইপিএলে প্রথমবার মাঠে নামেন গত বছর হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দেওয়া কেন উইলিয়ামসন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই লড়াই করার মতো স্কোর পায় হায়দরাবাদ। বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িয়ে নেন দলের রান।

ইংলিশ ওপেনার মন্থর ব্যাটিং করলেও পেয়ে গেছেন আইপিএলের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। কাগিসো রাবাদার বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ২ চার ও এক ছয়ে করেন ৫৩ রান। তবে উইলিয়ামসন ছিলেন আক্রমণাত্মক। ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে কিউই অধিনায়ক খেলে যান ৪১ রানের কার্যকরী ইনিংস। আর আইপিএলে অভিষিক্ত আব্দুল সামাদ ১২ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক শর্মার (১*) সঙ্গে।

দিল্লির সবচেয়ে সফল বোলার কাগিসো রাবাদা। প্রোটিয়া পেসার ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার সমান ২ উইকেট নিতে অমিত মিশ্রর খরচ ৩৫ রান।