টি-টোয়েন্টিতে ইমনের আগমনী বার্তা

পারভেজ হোসেন ইমন করেছেন হাফসেঞ্চুরিমিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারলেন বিশাল ছক্কা, তাও আবার কুড়ি ওভারের অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানকে। শুধু ওই শট নয়, দারুণ এক ইনিংসে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের পারভেজ হোমেন ইমন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চেনালেন নিজেকে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ফরচুন বরিশালের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে ভর দিয়ে জেমকন খুলনার বিপক্ষে বরিশাল ৯ উইকেটে করেছে ১৫২ রান।

প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর নামেন ইমন। অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে একপাশে রেখে দারুণ শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার। শফিউল ইসলামের প্রথম তিনটি বল সমীহ করলেও পঞ্চম বল লং অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন। ‍ছক্কা মেরেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের রানের খাতা খোলেন তিনি। এর আগে বিকেএসপির হয়ে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে ইমনের। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ওই ম্যাচে প্রথম বলে রানে খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

আজ (মঙ্গলবার) সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, শফিউল, আল আমিন- কেউ বাদ পড়েননি তার ব্যাটের সামনে। ৪২ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ৪ ছক্কা ছিল ইমনের ইনিংসে। ছক্কার শুরুটা করেছিলেন তিনি শফিউলকে দিয়ে। দ্বিতীয় ছক্কাটি মারেন আল আমিনকে, স্কয়ার লেগ দিয়ে মারা শটটি ছিল দেখার মতো। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের বলেও ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ইমন। খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও প্রতি ম্যাচেই অবদান ছিল তার। এরপর তিন দলকে নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নাজমুল একাদশের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। দুই ম্যাচে ১৯ ও ১০ রান করেছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

কাপড় ব্যবসায়ী বাবার ছেলে ইমন। ক্রিকেটে তার শুরুর রাস্তাতে ছিল আরেকজন বিশেষ ব্যক্তির অবদান, ইমনের বড় ভাই ফয়সালের বন্ধু জিসান। তার সঙ্গেই এলাকার অলিতে-গলিতে ক্রিকেট খেলে বেড়াতেন তিনি। কিছুটা ভালো খেলার কারণে জিসান বন্ধু ফয়সালকে বলে তার ভাইকে বিকেএসপিতে ভর্তি করে দিতে। ২০১৩ সালে ইমন বিকেএসপিতে ভর্তি হন, আর সামনে পেয়ে যান ক্রিকেটার হয়ে ওঠার চওড়া রাস্তা।

মঙ্গলবার জেমকন খুলনার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। দলের স্কোর সমৃদ্ধ করতে সবচেয়ে বড় অবদান ইমনের। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তিনি। শেষ দিকে তৌহিদ হৃদয় (২৭), মাহিদুল ইসলাম (২১) ও তাসিকনের (১২*) ছোট তবে কার্যকরী ইনিংগুলোতে দেড়শ ছাড়ায় বরিশালের স্কোর।