এমনিতে তামিমের মতো ইমনও চট্টগ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। তামিমের খেলা দেখেই তার বেড়ে ওঠা। ‘শৈশবের নায়কের’ সঙ্গে ব্যাটিং করার অনুভূতি কেমন? ইমন বললেন, ‘অনুভূতি অবশ্যই অনেক ভালো। উনি আমার সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটার। উনার সঙ্গে ব্যাটিং করতে পেরে সত্যি আমি অনেক খুশি।’
জেমকন খুলনার বিপক্ষে অভিজ্ঞ তামিমকে অন্যপ্রান্তে রেখে ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ করেছিলেন বরিশালের জার্সিতে খেলা ইমন। শফিউল ইসলামের প্রথম তিনটি বল সমীহ করলেও পঞ্চম বল লং অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন। ছক্কা মেরেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের রানের খাতা খোলেন তিনি। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, শফিউল, আল আমিন- কেউই বাদ পড়েননি তার ব্যাটের সামনে। ৪২ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ৪ ছক্কা ছিল ইমনের ইনিংসে। ছক্কার শুরুটা করেছিলেন তিনি শফিউলকে দিয়ে। দ্বিতীয় ছক্কাটি মারেন আল আমিনকে, স্কয়ার লেগ দিয়ে মারা শটটি ছিল দেখার মতো। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস।
দারুণ একটি ইনিংস খেলে আত্মবিশ্বাসী ইমনের চোখ এখন সামনের দিকে, ‘যা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ইনিংসটা আরও ভালো করা যেত। সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো করার দিকে নজর থাকবে। ইনিংসটা আরও বড় করার চেষ্টা করবো।’
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলে উঠে আসা ইমন এখনই বড়দের ক্রিকেটের সঙ্গে পার্থক্যটা বুঝে গেছেন, ‘আসলে পার্থক্যটা অনেক। এখানে অনেক বেশি অভিজ্ঞতার দরকার। তো দুই জায়গায় আমার কাছে অভিজ্ঞতার পার্থক্যটাই বেশি লেগেছে।’
গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ইমন। খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও প্রতি ম্যাচেই অবদান ছিল তার। এরপর তিন দলকে নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নাজমুল একাদশের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। দুই ম্যাচে ১৯ ও ১০ রান করেছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
কাপড় ব্যবসায়ী বাবার ছেলে ইমন। ক্রিকেটে তার শুরুর রাস্তাতে ছিল আরেকজন বিশেষ ব্যক্তির অবদান, ইমনের বড় ভাই ফয়সালের বন্ধু জিসান। তার সঙ্গেই এলাকার অলিতে-গলিতে ক্রিকেট খেলে বেড়াতেন তিনি। কিছুটা ভালো খেলার কারণে জিসান বন্ধু ফয়সালকে বলে তার ভাইকে বিকেএসপিতে ভর্তি করে দিতে। ২০১৩ সালে ইমন বিকেএসপিতে ভর্তি হন, আর সামনে পেয়ে যান ক্রিকেটার হয়ে ওঠার চওড়া রাস্তা।