মোস্তাফিজের ৫ রানে ৪ উইকেট, খুলনার আরেকটি হার

মোস্তাফিজের উইকেট উদযাপনআবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা। আবারও হার জেমকন খুলনার। মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে এলোমেলো মাহমুদউল্লাহরা। এই পেসার ৩.৫ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। সহজ লক্ষ্য ৩৮ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের জয় বড় পেয়েছে চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় হার।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ (শনিবার) বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ব্যাট-বল হাতে দাপট দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৭.৫ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে মোহাম্মদ মিঠুনরা।

৮৭ রানের লক্ষ্যে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। জয় থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে মাহমুদউল্লাহর শিকারে পরিণত হন সৌম্য। ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেন এই ওপেনার। মুমিনুল হককে নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরেছেন লিটন। প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা লিটন এবার খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। ৪৬ বলে ৯ চারে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন লিটন। অন্যপ্রান্তে মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৫ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা শুরুতেই চমক উপহার দেয়। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব। এনামুল হককে সঙ্গী করে ‘নতুন’ ওপেনারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন সাকিব। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে অবশ্য অনন্য ডাবলের (৩৫০ উইকেট ও ৫ হাজার রান) মাইলফলক স্পর্শ করেন। তার আগে অবশ্য রান আউটে কাটা পড়েন ওপেনার এনামুল (৬)।

মোস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। আগের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় যুক্ত হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল, আরিফুলরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রানের ইনিংস খেলেন আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া ইমরুল কায়েস। ২৬ বলে ৩ চারে ইমরুল তার ২১ রানের ইনিংসটি সাজান। আরিফুল (১৫), জহুরুল (১৪) ও শামীমের (১১) ব্যাটে ১৭.৫ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৬।

চট্টগ্রামের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। ৩.৫ ওভারে ৫ রান খরচায় মোস্তাফিজের শিকার ৪ উইকেট। এছাড়া নাহিদুল ১৫ রানে ‍দুটি ও তাইজুল ৩০ রানে দুটি উইকেট শিকার করেন।