ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

সংবাদমাধ্যমে কথা বলছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। ছবি: মাইনুর ইসলাম মানিকগত মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হতেই মাঠে গড়িয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। কিন্তু করোনাভাইরাসের থাবায় প্রথম রাউন্ড শেষ হতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসরটি। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ার কারণ ১২ ক্লাবের এই টুর্নামেন্টটি আলোর মুখ দেখছে না। কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানালেন, ভ্যাকসিনের জন্য তাদের অপেক্ষার কথা।

করোনার সময়টাতেও বিসিবি ক্রিকেট আয়োজন করেছে, তবে সেটি সীমিত পরিসরে অল্প কিছু দল নিয়ে। প্রেসিডেন্টস কাপে তিনটি দল ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ৫ দল নিয়ে খেলা হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা লিগে ক্লাবের সংখ্যা ১২টি। এত দলকে একসঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে লিগ আয়োজন করা চ্যালেঞ্জের। এখন সেই কাজটি কীভাবে করা যায়, সেটাই জানালেন কাজী ইনাম।

আজ (শনিবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাজী ইনাম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট করলাম ৩টি দল নিয়ে। এখন আমাদের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ হচ্ছে ৫ দল নিয়ে। দুটি টুর্নামেন্টেই খেলোয়াড়দের এক করে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সোনারগাঁওয়ে রাখতে পারছি। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ১২টি, তাদের জন্য আমাদের অপশন কী হবে, সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি। আমাদের কিন্তু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট। কীভাবে করতে পারি, সেই বিষয়ে গত তিন দিন ধরে বোর্ড প্রধানের (নাজমুল হাসান) সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে।’

সিসিডিএমের চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, ‘আমাদের কয়েকটা অপশন আছে। একটা হলো ঢাকার বাইরে লিগ আয়োজন করা, এটা নিয়ে আমরা আগেও আলাপ করেছি। আমরা এখনও দেখছি যে কী করা যায়। আমরা ঢাকার ভেতরে করলে কীভাবে করতে পারি, সেটিও আলোচনা করছি। এখানে একটি ব্যাপার হচ্ছে- বাংলাদেশের সরকার বলছে, একটি ভ্যাকসিন অতি দ্রুত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সব প্লেয়ারকে ভ্যাক্সিনেট করে ও তার সঙ্গে যারা সংযুক্ত, সবাইকে ভ্যাক্সিনেট করে খেলাটাকে পরিচালনা করতে পারি কিনা।’

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম ঠিক রাখতে একবছরে দুটি লিগ আয়োজন করতে হতে পারে সিসিডিএমের। সেক্ষেত্রে সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে ঢাকা লিগ আয়োজন করা হবে বলে জানালেন কাজী ইনাম, ‘যদি একবছরে দুটি লিগ আয়োজনের দরকার হয় কিংবা আট মাসেও দরকার হয়, আমরা এর ব্যবধানে যদি দুইটা সিঙ্গেল লিগও করতে পারি কিনা, সেটি দেখবো। আমাদেরকে অবশ্যই প্লেয়ারদের সঙ্গে ক্লাবের বিষয়টিও দেখতে হবে। আপাতত আমাদের স্থগিত লিগটি চালু করে সেটি শেষ করাই মূল লক্ষ্য।’