ব্যাটসম্যান সাকিব আবারও ব্যর্থ, গর্জে উঠলেন রুবেল

ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটছে না সাকিবেরজেমকন খুলনার আরও একটি ব্যাটিং ব্যর্থতা মঞ্চায়িত হলো মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। একমাত্র আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের ৪৫ রানে ভর দিয়ে লড়াই করার মতো স্কোর পেয়েছে খুলনা। তাতে অবশ্য বেক্সিমকো ঢাকার ভূমিকাও রয়েছে! পুরো ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন নাঈম-আকররা। পাশাপাশি মিস ফিল্ডিং তো ছিলই। ঢাকার ফিল্ডারদের পাশে রেখে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা এই অলরাউন্ডার নতুন পজিশন ওপেনিংয়ে মানিয়ে নিতে পারছেন না নিজেকে। আক্রমণাত্মক শুরুতে ভালো কিছু ইঙ্গিত দিলেও খুলনা তারকাকে থামতে হয়েছে মাত্র ১১ রানে। তাকে বিদায় করা রুবেল হোসেন বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। আগের দুই ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে থাকা এই পেসার ২৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকার সেরা।

আগের তিন ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও (সোমবার) শুরুতেই ভেঙে পড়ে ‍খুলনার টপ অর্ডার। নাসুম আহমেদের বলে এনামুল হক (৫) বোল্ড হলে হারায় প্রথম উইকেট। খানিক পর রুবেলের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প উপড়ে যায় সাকিবের। ওপেনার হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা এই অলরাউন্ডার ৯ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন। ইমরুল কায়েসকে এক ধাপ পিছিয়ে জহুরুল ইসলামকে ওয়ান ডাউনে আনলেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। জহুরুল আউট ৪ রানে।

৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া খুলনাকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৬ রান। ইমরুল ২৭ বলে ৪ বান্ডারিতে ২৯ রান করে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৫ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন।

এছাড়া ১১ বলে ১৯ রান এসেছে আরিফুলের ব্যাট। দলের স্কোর ১৫০-এর কাছাকাছি যেতে অবদান রেখেছেন প্রথমবার সুযোগ পাওয়া শুভাগত হোম। ৫ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ১৫ রানের ইনিংস।

বল হাতে দারুণ দিন কাটিয়েছেন রুবেল। সাকিব ছাড়াও মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল তার শিকার। গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট পেতে ৪ ওভারে তার খরচ ২৮ রান। এছাড়া শফিকুল ইসলাম ৩৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।