হাসছে না সাকিবের ব্যাট

সাকিব-ব্যর্থমাঠের লড়াইয়ে ফেরার শুরুটা করেছিলেন পছন্দের তিন নম্বর পজিশন থেকে। সুবিধা করতে না পারায় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ নিলেন। টানা দুই ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিব আল হাসান বুঝে গেলেন, এখানে সম্ভব নয়। তাই আজ (শুক্রবার) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নামলেন চার নম্বরে। পজিশন পাল্টালেও সাকিবের ভাগ্য বদলাচ্ছে না। আজও হাসেনি এই অলরাউন্ডারের ব্যাট।

তিনি ব্যর্থ হলেও হেসেছে প্রথমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসানের ব্যাট। ওপেনার এনামুল হকের ব্যর্থতায় সুযোগ পেয়ে ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তার দারুণ ইনিংসে ভর দিয়ে জেমকন খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৭৩ রান।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে খুলনা। গত চার ম্যাচের ব্যর্থতায় টিম ম্যানেজমেন্ট ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনে। একাদশ থেকে বাদ পড়েন এনামুল, তার বদলে সুযোগ পান আরেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকির। তবে আজও ওপেনিং জুটি ভালো করতে পারেনি। দলীয় ১৯ রানে বিদায় নেন ২ রান করা জহুরুল ইসলাম।

দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে জাকির ৯০ রানের জুটি গড়েন। ইমরুল ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৭ রান। এরপর সঙ্গীকে হারিয়ে খেই হারান জাকিরও। তার আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাসকিন আহমেদের একটি স্লোয়ার কাভারে খেলতে গিয়ে তৌহিদের তালুবন্দী হয়ে ৪২ বলে ৬৩ রানে বিদায় নেন। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটি এই তরুণ সাজিয়েছেন ১০ বাউন্ডারিতে।

গত দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা সাকিব চার নম্বরে ফিরে গেছেন। যদিও এখানেও সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ২ চারে ১৪ রান করেছেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহর ১৪ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা।

বরিশালের সবচেয়ে সফল বোলার কামরুল ইসলাম। ২৫ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৪৩ রানে ২টি ও তানভীর আহমেদ ১৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।