ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স ‘কাউন্ট’ করেন না সাকিব

গত অক্টোবরে একবছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফেরেন সাকিব আল হাসান। জেমকন খুলনার হয়ে বোলিংটা মোটামুটি হলেও ব্যাটিং একেবারেই ভালো হয়নি। ৯ ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া সাকিব করেছিলেন ১১০ রান, সর্বোচ্চ ২৮ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে। কুড়ি ওভারের টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল তাকে। টুর্নামেন্ট শেষে কিছু না বললেও আজ (বুধবার) এই অলরাউন্ডার জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স তিনি ‘কাউন্ট’ করেন না।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পারফরম্যান্সের পর ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে কেমন করেন সাকিব। বুধবার ৪ উইকেট ও ১৯ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে সাকিব জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে লাল-সবুজের জার্সি তাকে অনুপ্রাণিত করে বেশি, ‘এগুলো (ঘরোয়া ক্রিকেট) আমার কাছে কাউন্ট করে না। আপনারা করলে করতে পারেন। কিন্তু এগুলোর পারফরম্যান্স নিয়ে আমি ভাবিই না। আমার কাছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই আসল ব্যাপার, সেখানে কেমন করি। সেদিক থেকে আজকের জন্য আমি খুশি। তবে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে আরও ভালো লাগতো।’

সাকিব আরও যোগ করেছেন, ‘কেউ কী কোনও কিছু প্রত্যাশা করতে পারে। চেষ্টা সবসময় মানুষ করে। ভালো করা, খারাপ করা আলটিমেটলি কপালের ব্যাপার। একজন খেলোয়াড় সবসময় তার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করতে পারে।’

টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদার কারণে নিজের ব্যাটিং পজিশন তিন নম্বর ছেড়ে দিয়েছেন সাকিব। প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল দুজনই জানিয়েছেন, সাকিব খুশি মনে এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সাকিব কী বলছেন? শুনুন তার মুখেই, ‘দেখুন কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সেটা আমি মানি কিংবা না মানি। সবসময় আমি দলের হয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলগত অর্জন সবসময়ই বড় মনে হয়।’

বুধবার নিজের প্রত্যবর্তন ম্যাচটি বল হাতে রাঙিয়ে নিয়েছেন সাকিব। ৭.২ ওভারে ৮ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘ওয়ানডে ম্যাচে দলের পরিকল্পনা থাকে যত বেশি ডট বল করার। আমাদেরও পরিকল্পনা ছিল যে ভালো জায়গায় বল করা এবং যত বেশি ডট বল করা যায়।’