সুজনদের হারিয়ে শিরোপার হাসি পাইলটদের

পর্দা নামলো লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ৭০ বলের এই প্রতিযোগিতাটির চ্যাম্পিয়ন খালেদ মাসুদ পাইলটের দল একমি স্ট্রাইকার্স। মোহাম্মদ রফিকের ঘূর্ণিতে ফাইনালে তারা ৩০ রানে হারিয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের দল এক্সপো রেইডার্সকে।

আজ (শনিবার) ফাইনাল মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিল সাবেক দুই সতীর্থ পাইলট-সুজন। একসময় জাতীয় দলের জার্সিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলেও প্রতিযোগিতার মঞ্চে কেউ কাউকে ছাড় দেননি। তবে শেষ হাসি হেসেছেন পাইলট। তাদের জয়ের পথে মোহাম্মদ রফিক একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।

শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৭০ বলে ৮ উইকেটে ১০৪ রান করে পাইলটের একমি স্ট্রাইকার্স। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি সুজনের এক্সপো রেইডার্স

একমি স্ট্রাইকার্স দারুণ শুরু পায় ওপেনার এহসানুল হকের ব্যাটে। তিনি ২৮ বলে খেলেন ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার চেয়েও বিধ্বংসী ছিলেন মুশফিকুর রহমান বাবু, মাত্র ৯ বলে ৩ ছয়ে করেন ২৭ রান। আর মোহাম্মদ রফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।

এক্সপো রেইডার্সের শাহনিয়ান তাইম ও ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স দুজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট শিকার মিজানুর রহমান বাবুল।

১০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭৪ রানে থামে এক্সপো রেইডার্স। সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে ওপেনার নাঈম আফরোজের ব্যাট থেকে। ১১ রান এসেছে সুজন ও তালহা জুবায়ের দুজনের ব্যাট থেকেই।

সুজনদের একা হাতে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রফিক। এই বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর হাসিবুল হোসেন শান্ত পেয়েছেন ২ উইকেট।

গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়ানো রফিক ফাইনাল তো বটেই, পেয়েছেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারও। ৮ উইকেটের পাশাপাশি তিনি করেছেন ৭৫ রান। আর টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া জেমকন টাইটানসের জাভেদ ওমর।