দেশ ছাড়ার আগে যা জানিয়ে গেলেন সাইফউদ্দিন

সাত বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। পেস-নির্ভর কন্ডিশনের কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট বাড়তি পেসার নিয়েছে। আর এমন কন্ডিশন বলেই ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

যদিও ২০১৯ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যাটিং-বোলিংয়ে খুব ভালো করতে পারেননি সাইফউদ্দিন। তিন ম্যাচে ৯৫ রানের পাশাপাশি ১ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। নিউজিল্যান্ডগামী বিমানে চাপার আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ভালো অবস্থায় থাকলে যে কোনও কন্ডিশনে ভালো করা সম্ভব। লাইন এবং লেন্থ ঠিক রাখতে না পারলে কখনোই সেরা বোলিং হবে না। আমি যদি আমার বেসিক ঠিক রেখে বোলিং করতে পারি, তাহলে সাফল্য পাবো।’

ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিংয়েই ভালো করতে মুখিয়ে সাইফউদ্দিন, ‘অবশ্যই, বোলিং তো আমার প্রথম স্কিল। ইনশাল্লাহ, এটা নিয়ে আমি বেশি সিরিয়াস। আশা করি ভালো করবো।’

তিন সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডে ২৬ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে একটি ম্যাচেও জয় পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। নিরপেক্ষ ভেন্যু কিংবা নিজেদের মাঠে একাধিক জয় থাকলেও কিউই কন্ডিশনে শুধুই ব্যর্থতা। এবার সেই আক্ষেপ দূর করে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। অন্য সবার মতো সাইফউদ্দিনও শোনালেন একই কথা, ‘অনেক চাপ থাকবে কিনা, সেই সব ভাবছি না। প্রসেসটা ঠিক রাখলে সফলতা পাবো। আশা করি, আমরা পুরনো ইতহাস পাল্টাতে পারবো।’

নিউজিল্যান্ডে পাঁচ দিনের ক্যাম্প করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল। ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ‘আমরা কয়েকদিনের সময় পাবো অনুশীলনের জন্য। কোচিং স্টাফদের সহায়তা নিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

দলে সাত পেসার, একাদশে সুযোগ পাওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে? এমন প্রশ্নে সাইফউদ্দিনের জবাব, ‘না, এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কন্ডিশনের কারণে যা ভালো মনে হবে, টিম ম্যানেজমেন্ট সেটাই করবে। আমি আশাবাদী সুযোগ পাওয়া নিয়ে। এরপর সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’