‘নিউজিল্যান্ডে আগে আসাটা কাজে লেগেছে’

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটা বাংলাদেশ দলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে ক্রিকেটারদের দুই সপ্তাহে কঠোর ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। দুই দিন আগে ছোট পরিসের অনুশীলনের সুযোগ পেলেও স্বাধীনভাবে অনুশীলন করতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে ক্রিকেটারদের। নিউজিল্যান্ডে কঠিন নিয়মের বেড়াজালের মধ্য থেকেও প্রাপ্ত সময়টুকু ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন ক্রিকেটাররা।

দলের সঙ্গী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে আছেন নির্বাচন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেটুকু কথা হয়েছে, সবাই খুব খুশি। যেটুকু সময়-সুযোগ পাচ্ছে, তারা খুব ভালো মতো কাজে লাগাতে পারছে। খুব বেশি সময় যদিও পাচ্ছে না, তবে যতটুকু সময় পাচ্ছে, খুব ভালো মতো কাজে লাগাচ্ছে।’

দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ করে কুইন্সটাউনে এক সপ্তাহের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে কন্ডিশন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন হাবিবুল, ‘কুইন্সটাউনে কয়েকদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবো। আমার মনে হয়, আমরা যে কষ্টটুকু করছি আগে এসে সেটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছি। এখানকার কন্ডিশন, আমাদের কন্ডিশনের থেকে একেবারেই ভিন্ন। হয়তো ডানেডিনে ঠান্ডা একটু বেশি থাকবে। কিন্তু উইকেট কিন্তু এরকমই থাকবে। আমার মনে হয়, আমাদের একটু আগে আসাটা কাজে লেগেছে।’

দুই সপ্তাহ শেষে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে বাংলাদেশ দল। দুই সপ্তাহ হতে বাকি আর কয়েকটা দিন। সেই অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে বসে আছেন ক্রিকেটাররা। হাবিবুল বললেন, ‘১৪ দিন পরই কিন্তু আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবো, যে কোনও জায়গায় যেতে পারবো এবং খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবো। এটা কিন্তু একদিকে ভালো যে আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন, তারপর আপনাকে আর বাবলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না। সবাই এটাকে খুব পজিটিভলি নিয়েছে।’