২ ঘণ্টার ক্রিকেট-জীবন

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এমনিতেই সেখানকার কঠিন কন্ডিশন ভাবায়, এর ওপর আবার কোয়ারেন্টিন প্রোটোকলে স্বাভাবিক অনুশীলন করতে পারছেন না তামিম-মুশফিকরা। তবে যতটুকু সময় মিলছে, নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিচ্ছেন অনুশীলনে। আপাতত মিলেছে ২ ঘণ্টার অনুশীলনের অনুমতি। তবে স্বস্তির খবর হলো, শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, আর দুই দিনের অপেক্ষা।

১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বাংলাদেশ দল স্বাধীনভাবে সব করতে পারবে নিউজিল্যান্ডে। তার আগপর্যন্ত ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। বন্দি-জীবনের মাঝে মাহমুদউল্লাহদের চলছে ২ ঘণ্টার ক্রিকেট-জীবন।

অবশ্য কোয়ারেন্টিনের মধ্যেই অনুশীলনের যে সুযোগটা পাচ্ছেন, তাতেই তৃপ্ত বাংলাদেশ দল। প্রাপ্ত সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে তারা তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও সমান ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা অনুশীলন করতে পারছি। সুযোগ-সুবিধা ভালো। উইকেটগুলোও খুব ভালো। খুব ভালো অনুশীলন হচ্ছে।’

অনুশীলনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাচ্ছেন তারা, ‘যে ২ ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন যথাযথ অনুশীলন করতে পারি। স্কিল অনুশীলন, রানিং বা ফিটনেস, ওই সময়টাতেই করছি। উপভোগ করছি। সবাই জানি যে, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনও কিছুই সহজ হবে না। দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে।’

দুই দিন পর কোয়ারেন্টিন শেষ হবে বাংলাদেশ দলের। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে আত্মহারা ক্রিকেটাররা। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, ‘দুই দিন আরও কোয়ারেন্টিন আছে। দোয়া করছি যেন আমাদের সবার ফল নেগেটিভ আসে। তারপর আমরা বাইরে যাব।’

ক্রাইস্টচার্চে কোয়ারেন্টিন শেষ করে বাংলাদেশ দল চলে যাবে কুইন্সটাউনে। সেখানে শুরু হবে দলের মূল প্রস্তুতি। মাহমুদউল্লাহরা পাঁচ দিনের ক্যাম্প করবেন কুইন্সটাউনে।