‘ডাক’ মেরে ধোনির আইপিএল শুরু, জিতলো দিল্লি

শেষ দুই ওভারে দিল্লির জিততে প্রয়োজন ১২ বলে ৭ রান। বোলিংয়ে শারদুল ঠাকুর, কিন্তু আটকে রাখতে পারলেন না চেন্নাইয়ের এই পেসার। মাঝে বলে মার্কাস স্টইনিস আউট করলেও স্টইনিস ও রিশাভ প্যান্টের দুই চারে ৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে দিল্লি ক্যাপিটালস। হারের ম্যাচটি মহেন্দ্র সিং ধোনির শুরুটা ভালো হয়নি। চেন্নাই অধিনায়ক মাত্র দুই বল খেলে আবেশ খানের বলে বোল্ড হন রানের খাতা না খুলেই।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দিল্লি। নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৮৮ রান। জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে দিল্লির। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং শেখর ধাওয়ান ১৩৮ রানের জুটি গড়েন। এই জুটির উপর ভর করেই দিল্লির জয়ের পথটা সহজ হয়। পৃথ্বী শ ৩৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৭২ রানের ঝড় তোলেন। ব্রাভোর বলে কভারে মঈন আলীকে ক্যাচ দিয়ে বিদান নেন দিল্লির এই ওপেনার।

সঙ্গীকে হারিয়ে শেখর ধাওয়ান যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। শারদুল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ধাওয়ান ৫৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংসটি খেলেছেন। ধাওয়ান যখন আউট হন, ততক্ষণে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল দিল্লি। এরপর জয়ের জন্য বাকি পথটুকু সহজেই পার করেন মার্কাস স্টইনিস (১৪) ও রিশাভ প্যান্ট (১৫*)। দিল্লি ১৮.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৫৩ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন শারদুল ঠাকুর। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন ব্রাভো।

দিল্লির ইনিংসের শুরুতেই ক্রিস ওকস আর আবেশ খানের দাপটে চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার ধসে পড়ে। রুতুরাজ (৫) আর ডু প্লেসিস (০) রানে ফেরেন। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। মঈন আলি এবং সুরেশ রায়নার ৫৩ রানের জুটি চেন্নাই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করা মঈন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন। এরপর চতুর্থ উইকেটে আম্বাতি রাইডুকে সঙ্গী করে ৬৩ রানের আরেকটি দারুণ জুটি উপহার দেন রায়না। ৩৬ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় রায়না ৫৪ রানের  ইনিংস খেলে দূর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন। তার আগে অবশ্য  রাইডু ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।

২টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস আর আবেশ খান।