তসলিমার মন্তব্যের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কট!

সম্প্রতি ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলীকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মুসললিম এই ক্রিকেটার ক্রিকেটে না থাকলে জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতেন বলে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা। এর পর থেকে ভীষণ সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার প্রতিবাদে মুখর ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডও। তিনি সরাসরি বলেই দিয়েছেন, অনলাইনে এসব আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের কথাও বলেছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ভুয়া খবরকে ঘিরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবরে দাবি করা হয়, মঈন আলী তার জার্সি থেকে একটি অ্যালকোহল সংস্থার লোগো তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে। যেহেতু ইসলামিক ধর্মে অ্যালকোহলের প্রচার বারণ, সে কারণেই তিনি এই দাবি জানিয়েছিলেন। তার ভাবাবেগকে সম্মান জানাতে চেন্নাই কর্তৃপক্ষ মঈন আলির জার্সি থেকে নির্দিষ্ট ওই সংস্থার লোগো তুলেও নেয়। তবে চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে কিছু সংবাদমাধ্যম আবার জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও অনুরোধ করেননি মঈন।

এর প্রেক্ষিতেই তসলিমা টুইট করে বসেন এভাবে, ‘মঈন আলী যদি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকতেন, তবে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএস-এ যোগ দিতেন।’ এমন মন্তব্যের পর অবশ্য অনেকেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মঈন আলীর সতীর্থ জোফরা আর্চারও পাল্টা টুইট করেন তসলিমার উদ্দেশে।

সেই ঘটনার রেশ এখনও রয়ে গেছে ইংলিশ ক্রিকেটারদের মনে। এবার স্টুয়ার্ট ব্রড সরাসরিই বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু কোনও কিছুর প্রতিবাদ জানাতে যদি কিছু সময়ের জন্য সেসব ইতিবাচক দিকগুলোকে ছাড় দিতে হয়। আমি অবশ্যই সেই দলে থাকবো।’

কিছুদিন আগেও বর্ণবাদী ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের কথা শোনা গেছে ফুটবলে। স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন রেঞ্জার্স ও ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগের দল সোয়ানসিও এমন ঘোষণা দিয়েছে গত সপ্তাহে। বেশ কিছু খেলোয়াড় বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হওয়ায় দুটি দলই এক সপ্তাহের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের কথা বলেছে।