আফ্রিকায় পাকিস্তানের দাপট চলছেই

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের ইতিহাস গড়তে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। জোর সম্ভাবনাও জেগেছিল বাবর আজমদের অল্পতে আটকে রাখার পর ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত গড়ে। তবে জিম্বাবুয়ে পারেনি। তাই আফ্রিকার মাটিতে পাকিস্তানের দাপট চলমান। দক্ষিণ আফ্রিকায় দাপুটে পারফরম্যান্সের পর জিম্বাবুয়ে-মিশন শুরু করলো তারা প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে একা টেনে নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ৬১ বলে খেলা হার না মানা ৮২ রানে ভর দিয়ে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ১৪৯ রান। আর জিম্বাবুয়ে থামে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০তে লিড নিলো পাকিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ সময় কাটিয়ে আসা বাবর জিম্বাবুয়েতে এসে ব্যর্থ। মাত্র ২ রানে আউট পাকিস্তান অধিনায়ক। ফখর জামান (১৩), মোহাম্মদ হাফিজ (৫), দানিশ আজিজ (১৫), হায়দার আলী (৫) কিংবা ফাহিম আশরাফ (১)- কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতার ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ৮২ রানে। ৬১ বলের ইনিংসটি ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ী সাজান ১০ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।

স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল বোলার ওলেসলি মাধেভেরে। ১১ রানে এই স্পিনারের শিকার ২ উইকেট। তার সমান উইকেট পেতে লুক জঙ্গির খরচ ২৪ রান।

১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা মন্দ ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে পায় ২১ রান। ওপেনার মাধেভেরে ১৪ রানে আউট হওয়ার পরপরই তাদিয়ানাশি মারুমানি খালি হাতে ফিরলে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে ওই জায়গা থেকে ২ উইকেটে রান ৭৭ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিলেন তিনাশে কামুনুকামে ও ক্রেগ আর্ভিন। কিন্তু মোহাম্মদ হাফিজ বোলিংয়ে এসে ২৯ রান করা কামুনুকামের উইকেটে তুলে নিলে পথ হারায় আফ্রিকান দলটি। খানিক পর আর্ভিনও প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে আশা একরকম শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। আর্ভিন ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় করেন ৩৪ রান।

শেষ দিকে ব্যাট হাতে জঙ্গি জ্বলে উঠলে আবার আশার রঙ ছড়ায় জিম্বাবুয়ে ক্যাম্পে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। জঙ্গি ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার উসমান কাদির। ২৯ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন।