রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের

বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চাওয়া ছিল ৫২০ রান। সেই সংগ্রহও টপকে ইনিংস ঘোষণা করলো বাংলাদেশ। ক্যান্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে দেড় ঘণ্টার মতো ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ‍সফরকারীরা। সোয়া দুই দিনে বাংলাদেশ ব্যাট করেছে ১৭৩ ওভার!

মুমিনুল হক হাতের ইশারায় যখন ইনিংস শেষের ঘোষণা দিলেন, তখন মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৬৮ রানে। আর তাসকিন আহমেদ ছিলেন ৬ রানে অপরাজিত। তার আগে অবশ্য তৃতীয় দিনের সকালে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেশনের হিসাবে ক্যান্ডি টেস্টে এটাই সফরকারীদের সর্বোচ্চ উইকেট হারানো। এর আগে সেশন তো দূরে থাক, প্রথম দুই দিনে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২টি করে উইকেট।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মুশফিক যেভাবে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন, ইনিংস ঘোষণা না হলে সেঞ্চুরি সংখ্যা আরেকটি বাড়তেই পারতো। যদিও টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফসেঞ্চুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে। ১৫৬ বলে খেলা হার না মানা ৬৮ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে।

মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় দিন আক্রমণাত্মক ঢংয়ে শুরু করেছিলেন লিটন দাস। দ্রুত রান বাড়িয়ে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফসেঞ্চুরিও। তবে ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই উইকেটকিপার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করেছেন লিটন। তবে তৃতীয় দিনে দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে আগ্রাসী ছিলেন তিনি। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে আউট হওয়ার আগে খেলে গেছেন ৫০ রানের ইনিংস। ৬৭ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।

তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরই ফিরে গেছেন মিরাজ। এই ব্যাটসম্যান সুরঙ্গা লাকমালের বলে ধরা পড়েন উইকেটকিপার নিরোশান ডিকবেলার গ্লাভাসে। যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।

লিটন-মিরাজের বিদায়ের আগেই অবশ্য বাংলাদেশের স্কোর ৫০০ ছাড়ায়।