রিভিউতে বেঁচে যাওয়া সাইফ করলেন ৩৪

ক্যান্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের পর হাল্কা প্রতিরোধ দেওয়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সাইফ ফিরে যাওয়ার পর বিদায় নিয়েছেন শান্তও। দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ১১২ রান। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ৩২৫ রান।

১২তম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন সাইফ হাসান। রামেশের ঘূর্ণিতে লেগবিফোরের আবেদন উঠলে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু সাইফ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করেছে। এর পর রান তোলার দিকে মনোযোগী হতে থাকেন তিনি। বিগত ইনিংসগুলোতে রান না পাওয়া সাইফ শেষ পর্যন্ত করতে পারেন ক্যারিয়ার সেরা ৩৪ রান। কিন্তু বাজে শটে এর পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। জয়াবিক্রমার ঘূর্ণিতে তালুবন্দি হয়েছেন লাকমালের।

শান্ত এর পর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেলেও থিতু হতে পারলেন না। প্রথম ইনিংসের সেরা স্পিনার জয়াবিক্রমা অসাধারণ এক টার্নে বোল্ড করেন শান্তকে (২৬)। ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক (২৭) ও মুশফিকুর রহিম (১)।

লাঞ্চের পর ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। ততক্ষণে অবশ্য লিড দাঁড়ায় ৪৩৬ রান। এত বড় লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে আগ্রাসী সূচনাই করেন ওপেনার তামিম। ৭ ওভারে স্কোর হয়ে যায় ৩১। কিন্তু পরের ওভারে রামেশ মেন্ডিসের অফ স্পিনে পরাস্ত হন তিনি। কটবিহাইন্ড হয়ে তামিম ফেরেন ২৪ রানে। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়।

চতুর্থ দিন বড় লক্ষ্য পেতে সফল ছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৪টি উইকেট তুলে নিলেও তখনই লঙ্কানদের লিড হয়ে যায় ৪১৪ রান। লাঞ্চের পর আরও কিছুক্ষণ ব্যাট করার কৌশল নিলেও বাংলাদেশের বোলিং নৈপুণ্যে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।