দুই টেস্টেই নেগেটিভ, ‘সবুজ সংকেতের’ অপেক্ষায় সাকিব-মোস্তাফিজ

ভারত থেকে দেশে ফিরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। ইতোমধ্যে দুজনের দুই দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুজনই নেগেটিভ হয়েছেন। এখন অপেক্ষায় আছেন মুক্ত হওয়ার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পেলেই কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় যেতে পারবেন তারা।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভারত থেকে কোনও যাত্রী বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। আর আসলেও তাদের কঠোর কোয়েরেন্টিন মেনে চলতে হবে। এজন্য সাকিব-মোস্তাফিজ আইপিএল থেকে দেশে ফেরার আগ থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে তাদের কোয়ারেন্টিন কমানো নিয়ে আলোচনা করে আসছিল বিসিবি। যদিও লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়ে দেন, তারা ‘না’ করে দিয়েছেন বিসিবিকে। দুই ক্রিকেটারকে ১৪ দিনই থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে।

সে কারণেই গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে ওই দিন থেকে ভিন্ন ভিন্ন হোটেলে সাকিব ও মোস্তাফিজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শুরু হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ২০ মে। যদিও এর আগেই দুই ক্রিকেটারকে ‘মুক্ত’ করতে বিসিবি চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দুইবার ক্রিকেটারদের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই মুক্ত হতে পারবেন ভারত ফেরত দুই ক্রিকেটার। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য, ‘আমরা ওদের কোয়ারেন্টিনের সময় কমানোর চেষ্টা করছি। তাদের দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তারা অনুশীলনে যোগ দিতে পারবে।’

বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরীও জালালেন, দুটি টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার পর সাকিব-মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই, ‘সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান দুই টেস্টেই নেগেটিভ এসেছেন। কোয়ারেন্টিন মুক্ত হতে আর কোনও করোনা টেস্টের প্রয়োজন নেই। তবে তারা কোয়ারেন্টিন থেকে কবে বের হবেন, একথা আমি বলতে পারছি না। আমি যতদূর জানি সিইও (নিজামউদ্দিন) তাদের দ্রুত বের করে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে করে শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে ঈদের পরে শুরু হওয়া অনুশীলনে তারা যোগ দিতে পারেন।’

শেষ পর্যন্ত দুই ক্রিকেটার কোয়ারেন্টিন মুক্ত হলে ঈদের পর, অর্থাৎ ১৮ মে থেকে অনুশীলন করার কোন বাধা থাকবে না।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা দল বাংলাদেশে আসছে আগামী ১৬ মে। ঢাকায় এসেই সফরকারীরা থাকবে তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টিনে। এরপর ১৯ মে থেকে তারা অনুশীলনে ফিরতে পারবে।

১৯ ও ২০ মে মিরপুরের একাডেমিতে দুই দিনের অনুশীলন শেষে লঙ্কানরা বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতিমূলক ওয়ানডে খেলবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই দলের আসল লড়াই শুরু হবে ২৩ মে থেকে। ২৫ ও ২৮ মে সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডেও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।