বাঁশের ব্যাটে জল ঢেলে দিলো এমসিসি

কাঠের ব্যাটের বদলে বাঁশের ব্যাট- আলোচনা রূপ নিয়েছিল চরম উত্তেজনায়। কারণও ছিল যথেষ্ট। ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) পর্যন্ত গড়িয়েছিল কথাবার্তা। এমসিসি জানিয়েছিল, বাঁশের ব্যাটের বিষয়টি ভেবে দেখবে তারা। তবে সব আলোচনায় জল ঢেলে দিয়েছে তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমান আইনে বাঁশের তৈরি ব্যাট ব্যবহারের সুযোগ নেই।

এমসিসি আইনের ৫.৩.২ ধারায় বলা আছে, কাঠ ছাড়া অন্য কোনও কিছু দিয়ে তৈরি ব্যাট ব্যবহার করা যাবে না। তাই বাঁশ দিয়ে তৈরি ব্যাট ব্যবহার করতে চাইলে বর্তমান আইন বদলাতে হবে। তাছাড়া বর্তমান আইনে বলা আছে, ব্যাটে কোনও প্রকার প্রলেপ ব্যবহার করা যাবে না, যেটি বাঁশের ব্যাটে ব্যবহার করা হয়েছে।

বর্তমানে ব্যাটসম্যানরা কাঠের ব্যাট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ক্রিকেটের অনেক নিয়ম ও আইন পাল্টানোর মতো ব্যাটেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে ভাবা হচ্ছিল। বিশেষ করে, এমসিসি যখন অপেক্ষায় রেখেছিল ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত বাঁশের ব্যাটের ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকদের দাবি, বাঁশের ব্যাটে খরচ অনেক কমে যাবে। কাঠের তৈরি ব্যাট উৎপাদনে যতটা খরচ, তার অনেক কম খরচ হবে তাদের উদ্ভাবিত ব্যাটে।

ওই গবেষক দলটির অন্যতম দার্শিল শাহ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছিলেন, বাঁশের ব্যাটে ব্যাটসম্যানরা ইয়র্কার ডেলিভারি আরও ভালোভাবে খেলতে পারবেন এবং একই সঙ্গে অন্যান্য শটেও কার্যকারিতা বেশি পাবেন কাঠের ব্যাটের তুলনায়।

কিন্তু তাদের গবেষণার ফসল কাজে এলো না! এমসিসির আইনের বহির্ভূত হওয়ায় বাঁশের ব্যাট স্বীকৃতি পাচ্ছে না। ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন সংস্থা জানিয়ে দিলো, বাঁশের ব্যাট ব্যবহার করা যাবে না।